বান্দরবানে জুম চাষীদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

jumপাহাড়ে বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মিটাতে একই পাহাড়ে প্রতিবছর চাষাবাদে উদ্ভুদ্ধ করনের লক্ষ্যে বান্দরবানের কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে পৃথক পৃথক তিনটি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল থেকে বান্দরবানের রামরি পাড়া, ম্রলং পাড়া ওপর্যটন চাকমা পাড়ায় এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়ীদের আদিপেশা জুম চাষ।
অধিকাংশ পাহাড়ি এলাকার মানুষ জুম চাষের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। পাহাড়ে জুম চাষের কারণে দিন দিন মাটির উর্বরতা হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে মাটির ক্ষয়। জুম চাষের অধিক ফলন ও মাটির ক্ষয় রোধে রাসায়নিক সার ব্যবহার সর্ম্পকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করনের লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
এর মাধ্যমে প্রতিবছর একই পাহাড়ে যাতে জুম চাষ করা যায় তা নিয়ে ২শ একর জমিতে ৫শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিক্ষামূলক ফসল ফলানো হচ্ছে। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতেও জুম চাষীদেরকে পর্যায়ক্রমে এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। পরে উপকার ভোগী জুম চাষীদেরকে নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড.মো জহির উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো.আলতাফ হোসেন,বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর ড. এ.জে.এম সিরাজুল করিম, ড. অলক কুমার পাল, ড.শওকত আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন