স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে মোরা এর তান্ডবে, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমন্তবর্তী তুমব্র, ঘুমধুম, বাইশারী, আলীকদম, লামা, রোয়াংছড়ি, রুমা ও জেলা সদরের প্রত্যান্ত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লামার পৌর এলাকার দেড় সহস্রাধিক কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ন বিধ্বস্ত হয়েছে,আহত হয়েছে ক্যাচিং থোয়াই মার্মাসহ অন্তত দুইজন। এছাড়া লামা-রুপসীপাড়া সড়ক, লামা-আলীকদম সড়কের ওপর গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২০টি ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড এবং সরই ইউনিয়নে ৩০টির মত ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যায় এবং বগাইছড়ি, হারগাজা, সাফেরঘাটা ও বনপুর সড়ক এবং লামা-সুয়ালক, ক্যায়াজুপাড়া-লুলাইং ও ক্যয়াজুপাড়া-ধুইল্যাপাড়া সড়কের ওপর গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি পাহাড়বার্তাকে আরো বলেন,”ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বিজিবির মাধ্যমে খবরা খবর রাখা হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌ চলাচলের অনুমতি দেয়া হতে পারে”।
এদিকে সকাল থেকে টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে পাহাড় ধসের আশংখা থাকার কারনে জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা রাখা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলার উপজেলাগুলোতে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি, চালু হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।
বান্দরবান জেলার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ পাহাড়বার্তাকে বলেন, জেলার কোন উপজেলা থেকে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।