স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা ৯দিনের বর্ষনের কারনে বান্দরবান সদরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর,বাসস্টেশন ছাড়াও লামা, আলীকদম,রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়, জেলায় ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দি আছে । শুক্রবার বৃষ্টি কম হওয়ার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি কিছুটা কমলেও আজ শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টির কারনে ফের পানি বেড়েছে।
বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ার বড়দোয়ার এলাকায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে গত মঙ্গলবার থেকে ৫য় দিনের মতো বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবানের বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাশ ঝন্টু জানান, বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে বন্যা দূর্গতদের স্বাস্থ্যসেবায় জেলায় বিশেষ টিম গঠনের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৩১ টি। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থা খাবার বিতরণ করছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ইসলাম বেবী বলেন, শহরের বন্যা কবলিত এলাকার ৩ হাজার মানুষকে প্রতি বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
বন্যার কারনে বহু ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাড়ছে ভোগ্য পণ্যের দাম।