তিন দফা আবেদনেও পুলিশের সাড়া না পেয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভা স্থগিত করেছে বিএনপি।
দুর্নীতির দায়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার এই জনসভার অনুমতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে গিয়েও ফল পাননি বিএনপি নেতারা।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বুধবার বিকালে এক ‘জরুরি’ সংবাদ সম্মেলনে জনসভা স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “জনসভার অনুমতি নিয়ে পুলিশ টালবাহানা করছে। এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে তারা অনুমতি দেবে না। এটাই হচ্ছে তাদের মনোবাঞ্ছা।”
তার ভাষায়, বিএনপির মত ‘একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে’ জনসভার অনুমতি না দেওয়া সরকারের ‘স্বৈরাচারী আচরণেরই’ বহিঃপ্রকাশ।
“ভোটারবিহীন সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারের যে স্বীকৃতি পেয়েছে তা জনসভা করতে না দেওয়ার মধ্যে দিয়েও অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হল। আমরা ২৯ মার্চের জনসভা আপাতত স্থগিত করছি।”
কর্মসূচি স্থগিতের কারণ ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, বিকাল ৪টা পর্যন্ত পুলিশ অনুমতির বিষয়ে কিছু জানায়নি। কিন্তু মঞ্চ তৈরি করা, নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার জন্যও সময় দরকার। এ কারণে বিএনপি ধরে নিয়েছে, পুলিশ আর অনুমতি দেবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার বিএনপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের বৈঠক প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম সরকার জনসভার অনুমতি দেবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই সাংবাদিকদের বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দেবে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়।”
রিজভী জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আগামী ৪ এপ্রিল রাজশাহীতে যে জনসভা করার কথা ছিল, তা পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয়েছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস সালাম, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব উপস্থিত ছিলেন।