খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ছয় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ‘বীর নিবাস‘ হস্তান্তর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় এসব বীর নিবাস নির্মান করে।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব ‘বীর নিবাস‘ নামে বাড়িগুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে চাবি হস্তান্তর করেন।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন, বীর নিবাসের ঠিকাদার মো. জহিরুল ইসলাম খোন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে মাটিরাঙ্গার তবলছড়ির তাহের সর্দার পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজ উদ্দিন, গৌরাঙ্গপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, কুমিল্লাটিলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সহীদ, হাজীপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামছুল হক, বড়নালের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রাজা মিয়া ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মুসলিমপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া চাঁন সরকার।
বীর নিবাস পাওয়া অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া চাঁন সরকার বলেন, কিছু পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করিনি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীল মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে ‘বীর নিবাস‘ করে দিয়েছেন। এর চেয়ে সুখের কি হতে পারে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২১-২২ অর্থ বছরে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ১২ জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার অনুকুলে বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে ছয়টি বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ছয়টি বাড়ি আজ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাঝে হস্তাস্তর করা হলো। নির্মাণ কাজ শেষ হলে অন্যদেরও বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজ তৃলা দেব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বদিচ্ছায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। সরকারের করে দেয়া বীর নিবাস বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে।