পাহাড় দখল করে অপরিকিল্পত অবকাঠামো উন্নয়ন, বন ধ্বংস, কাপ্তাই হ্রদ দখল ও দুষনের কারণে এখানকার পর্বতগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষন করা যাচ্ছে না। বাস্তবতা হচ্ছে, আইনের বাস্তবায়ন না ঘটায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটি ক্রমশঃ শ্রীহীন হয়ে পড়ছে। প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট নানা কারণে প্রকৃতির বিরুদ্ধাচারণ হচ্ছে বলেই প্রকৃতি বিরুপ আচরণ করছে। সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ হলরুমে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
বৃষ কেতু চাকমা বলেন,শুধু দিবস পালনে নিজেদেরকে সীমাবদ্ধ না রেখে পর্বত, হ্রদ ও পর্যটনের শহর রাঙামাটির প্রাকৃতিক সম্পদকে যথাযথ সংরক্ষন করার বাস্তবমুখি কাজ করে দেখাতে হবে। চলতি বছর ১৩ জুন যে ধ্বংসযজ্ঞ প্রকৃতি দেখিয়েছে, তা থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। পাহাড়ের ওপর অত্যাচার কমাতে হবে, বনায়ন বাড়াতে হবে। শুধু বাণিজ্যের জন্য বনায়ন করে লাভ নেই, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পর্বতগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আইন মানি না, আইন যারা প্রয়োগ করেন তারাও চুপ থাকেন। বন উজার হচ্ছে কেন? পাহাড়গুলোর এ দৈন্যদশা কেন? কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। পাহাড়, হ্রদ রক্ষার্থে কোন উদ্যোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে পর্বত দিবস নিয়ে যে সব বড় বড় কথা বলি তার কোনটাই সার্থকতা আসবে না। তিনি এসব সমস্যার সমাধানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মো. মুছা মাতব্বর, স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, শাক্য মুনি চাকমা, ত্রিদিব কান্তি দাশ,মনোয়ারা জসিম, সিভিল সার্জন শহীদ তালুকদারসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও পেশাজীবিগণ উপস্থিত ছিলেন।