পার্বত্য এলাকার উৎপাদিত তাঁত বস্ত্রের প্রসার ও হস্তশিল্প উদ্দ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন’সহ অধিক উদ্দ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষে সোমবার রাঙামাটিতে মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলা-২০১৮ শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে রাঙামাটি কুমার সমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গনে মাসব্যাপী তাঁত বস্ত্র ও হস্থ শিল্প মেলার উদ্বোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। রাঙামাটির উদ্দ্যেক্তা উন্নয়ন পরিষদ ও জাতীয় ক্ষুদ্র কৃঠির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) রাঙ্গামাটি এ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় রাঙামাটির ২০টিসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মোট ৬৪টি স্টলে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী স্থান পেয়েছে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে উদ্দ্যেক্তা উন্নয়ন পরিষদ ও জাতীয় ক্ষুদ্র কৃঠির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) রাঙামাটি শাখার সভাপতি বিপ্লব চাকমা সভাপতিত্বে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পার্বত্য পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার বস্ত্রশিল্প সামগ্রীর উৎপাদন বাড়াতে ও বাজার সৃষ্টি করতে এই মেলা বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ী বস্ত্র শিল্পের যে ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে তা ধরে রাখতে হলে স্থানীয় উদ্দ্যোক্তাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক মালিক উভয়কে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। তিনি শ্রমিকদের আরো দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষনের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পাহাড়ী বস্ত্র ও হস্তশিল্পের যে চাহিদা রয়েছে তা পূরন করতে দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন। পন্যের গুনগতমান ঠিক রেখে বস্ত্র ও হস্ত শিল্পের উৎপাদন বাড়ানো গেলে অর্থনৈতিক ভাবে এ খাতে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে তিনি মত ব্যক্ত করেন। পরে ফিতা কেটে ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলার উদ্বোধনের পর রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, উদ্যোক্তা উন্নয়নের ধারাবাহিক অংশ হিসেবে এ বছরও উদ্দ্যেক্তা উন্নয়ন পরিষদ ও জাতীয় ক্ষুদ্র কৃঠির শিল্প সমিতি বাংলাদেশ (নাসিব) রাঙামাটির’সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দ্যেক্তাদের পণ্য বাজারজাত ও প্রসারের লক্ষে রাঙামাটিতে যে মেলার আয়োজন করেছে তাতে পন্যের প্রসারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগনের বিনোদনের সুযোগ হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন মেলার উদ্যোক্তারা।