রাঙ্গামাটিতে পাহাড় কাটার দায়ে আটক ১

NewsDetails_01

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় কাটার দায়ে আটক মো. জাহাঙ্গীর আলম
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালত রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে একজনকে আটক করেছে। অভিযানের টের পেয়ে জড়িতরা পালিয়ে গেছে। আটক জাহাঙ্গীর আলম চম্পকনগর এলাকার ইজ্জত আলীর পুত্র।
সূত্র জানায়, সোমবার শহরের শিমুলতলী এলাকায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় এসি ল্যান্ড (সদর) মৌমিতা দাশসহ পুলিশের একটি টিম সঙ্গে ছিলেন। এদিন সরকারী পাহাড় অবৈধভাবে দখল করে পাকা ঘর নির্মানে জড়িত মোঃ জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে, পাহাড়ের মাঠি কর্তনের সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবীর সোহাগ জানান, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে বাড়ি নির্মান করছে, এমন অভিযোগ পেয়ে আমি এবং এসি ল্যান্ড তাৎক্ষনিকভাবে শিমুলতলী এলাকায় গিয়ে পাহাড় কাটার দায়ে জাহাঙ্গীর নামক একজনকে আটক করতে পারলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ভাষ্যমতে, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন টিটু ও চম্পকনগর এলাকার মোঃ পিয়ারুর নির্দেশে তারা এ মাটি কাটছে বলে জানায়।
ইউএনও জানান, এই তিনজনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হবে। তিনি আরো জানান, অবৈধভাবে পাহাড়দখল এবং কর্তন কোনভাবেই কাম্য নয়। এর সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া, রাঙ্গামাটি শহরের যেকোন স্থানে অবৈধ দখলদারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ জানান, সরকারী পাহাড় অবৈধভাবে দখলকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পক্ষে আমরা বদ্ধ পরিকর। তারা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, আইনের চেয়ে বড় নয়। এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাড়াতে হবে।

আরও পড়ুন