সূত্র জানায়, গ্রেফতারর্কৃত জুনেল চাকমার (৩২) বাড়ি লংগদুর রাঙ্গিপাড়ায়; আর রুনেল চাকমা (১৭) খাগড়াছড়ির বাবুছড়ার বাসিন্দা। হত্যাকাণ্ডের সময় তাদের সঙ্গে লংগদুর রাঙ্গিপাড়ার বাবুরাজ নামে আরও একজন ছিলেন বলে গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পিবিআই কর্মকর্তারা জানান।
রাঙামাটির লংগদু সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর কাজ করতেন। তার লাশ উদ্ধারের পরদিন প্রতিবাদ মিছিল থেকে লংগদু উপজেলা সদরে পাহাড়িদের কয়েকটি গ্রামে হামলা ও কয়েকশ বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লংগদু উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা জানান, জেলা পুলিশের অনুরোধে নয়ন হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ৪ জুন কাজ শুরু করেন তারা। গ্রেফতারর্কৃত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পূর্বাপর তথ্য জানতে পারেন পিবিআই কর্মকর্তারা।
তিনি আরো বলেন, গত ৩১ মে লংগদু বাজারে বাজাজ প্লাটিনাম মডেলের একটি মোটরসাইকেল পছন্দ হলে জুনেল ও বাবুরাজ সেটি ছিনতাই করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই মোটরসাইকেলটি ছিল নয়নের। লংগদু থেকে খাগড়াছড়ি সদরে যাওয়ার কথা বলে সাতশ টাকায় তারা মোটরসাইকেলটি ভাড়া নেয়। ১ জুন সকালে লংগদু বাজার থেকে রওনা হওয়ার পর দীঘিনালা বাস স্টেশন থেকে রুনেল তাদের সঙ্গে ওঠে। মোটরসাইকেলে নয়নসহ চারজন খাগড়াছড়ির খাগড়াপোল পর্যন্ত যায় সেখানে একটি দোকানে তারা চা পান করে। খাগড়াপোলে সেতুর সংস্কার কাজ চলছিল। সেতুর কাজে ব্যবহৃত একটি লোহার রড প্রয়োজন আছে জানিয়ে চেয়ে নেয় রুনেল। তারপর তারা ফিরতি পথে দীঘিনালার উদ্দেশে রওনা হয়। খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের চার মাইল এলাকায় পৌঁছালে প্রস্রাব করার কথা বলে মোটরসাইকেল থামায় তারা। মোটরসাইকেল থেকে নেমে নয়নকে রড দিয়ে আঘাত করে রুনেল। এ সময় নয়ন উঠে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আরও কয়েকবার ওই রড দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেলটি পরে উন্দাল বাগান এলাকায় রুনেলের এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে তারা চলে যায়। কিন্তু বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত ৪ জুন মোটরসাইকেলটি তারা দীঘিনালার মাইনী নদীতে ফেলে দেয়।