বান্দরবান জেলার আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পর এবার অবৈধভাবে পাচারকালে লামা উপজেলা থেকে ১২টি বিদেশি গরু মহিষ আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা মাতামুুহুরী নদীর শীলেরতুয়া ও রাজবাড়ি এলাকা থেকে বুধবার সকাল ও দুপুরে এসব গরু মহিষ আটক করা হয়। আটককৃত গরু মহিষগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা বলে ধারণা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, গত ৭-৮মাস ধরে মিয়ানমার থেকে আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকছে গরু ও মহিষ। আবার একটি অসাধু চক্র সড়ক পথের পাশাপাশি নদী পথে এসব গরু মহিষ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় পাচার করে চলেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে লামা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার শীলেরতুয়া এলাকা থেকে বুধবার সকালে ৩টি গরু ও ৩টি মহিষ আটক করে। এরপর দুপুরের দিকে বাজবাড়ী এলাকা থেকে আরও ৬টি গরু আটক করে পুলিশ।
গত কয়েক মাসে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক গরু আটক করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে গত ২৪ ও ২৫ অক্টোবর আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ২৩ টি গরু মহিষ আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে লামা উপজেলার খামারী আবদু সত্তার ও এসহসান উল্লাহ বলেন, মিয়ানমার থেকে গরু আনার কারনে দেশীয় গরুর চাহিদা ও দাম কমে গেছে। দেশে গরুর খাদ্যের দাম বেশি। এক থেকে দেড় বছর গরু লালন পালনের পর বিক্রি করলে লাভের মুখ দেখতে পারছেনা খামারীরা। অধিকাংশ সময়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারীদের। তাই বিদেশি গরু আনা বন্ধের দাবী জানান খামারীরা।
গরু আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বুধবার সকালে আটককৃত ৬টি গরু মহিষ আদালতে চালান করা হয়েছে। দুুপুরে আটককৃত ৬টি গরুও আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।