বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর পথ্য সরবরাহে সংকট দেখা দিযেছে। লিলেন ও পথ্য সরবরাহের জন্য দরপত্র আহব্বানকে কেন্দ্র করে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অচলাবস্থার মধ্যেই আবার সোমবার থেকে হাসপাতালকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয়। যার কারনে সংকট আরো বেশী দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগি এলাকাবাসিসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত রোগীরা সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ দাবি করেছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি লিলেন ও পথ্য সরবরাহের জন্য দরপত্র আহব্বান করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। পরে জনৈক ঠিকাদার মো. আবু তাহের রানা দরপত্র দাখিলের বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনী লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
পথ্য সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘জিয়া কনষ্ট্রাকশন’র সত্ত্বাধিকারি বেলাল বলেন, গত ৫ মাস ধরে তার বিল না হওয়ায় আর্থিক সংকটের কারনে পথ্য সরবরাহ অচল হওয়ার পথে। এদিকে দরপত্র দাখিলকারী ঠিকাদার মো. আবু তাহের রানা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অনিয়ন ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বান্দরবানের একটি কনস্ট্রাকশনকে পাইয়ে দেন, তাই আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
লামা উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহীন নওশেদ জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর রোগীর পথ্য সরবরাহের জন্য দরপত্র আহব্বান ও কার্যাদেশ বাতিল চেয়ে ২য় দরদাতা জনৈক মো: আবু তাহের উকলি নোটিশ করায় বিল ছাড় করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ উইলিয়াম লুসাই জানান, সরকার এলাকাবাসির স্বাস্থ্যসেবা অগ্রাধিকার দিয়ে হাসপাতাটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছে। এ অবস্থায় গত ৫ মাস উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার রোগীর পথ্য সরবরাহের বিল আটকে রাখার ফলে রোগীর পথ্য সংকট দেখা দিয়েছে।