সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর দুই নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে উদ্ধারের দাবিতে তিন নারী সংগঠন (হিল উইমেন্সফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি)-এর আহব্বানে আজ ২ এপ্রিল ২০১৮ রাঙামাটির কাউখালী, নান্যাচর, লংগদু, বন্দুকভাঙ্গা, সাপছড়ি, কুদুকছড়ির বিভিন্নশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে কর্মসূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা-পরীক্ষার্থীদের আওতামুক্ত রাখা হয়। হিল উইমেন্স ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তর সম্পাদক নীতি শোভা চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,কর্মসূচির সমর্থনে নানিয়ারচর, লংগদু,কুতুকছড়ি ও সাপছড়ি এলাকার প্রায় স্কুল বন্ধ রাখা হয়। অপরদিকে, কাউখালী উপজেলার পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, হারাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, তালুকদার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, শীলছড়ি জুনিয়র স্কুল এবং ডাবুয়া বৃক্ষ ভানুপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ক্লাশ বর্জন কর্মসূচিতে সামিল হয়।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিরূপা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক কাজলী ত্রিপুরা ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শান্তি প্রভা চাকমা ক্লাশ বর্জন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দুই নেত্রীকে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির কুতুকছড়ি ইউনিয়নের আবাসিক নামক স্থান থেকে সন্ত্রাসীরা হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক দয়াসোনা চাকমাাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত দুই নেত্রীকে উদ্ধারের দাবিতে ঐদিন তিন নারী সংগঠন উক্ত ক্লাশ বর্জন কর্মস‚চির ঘোষণা দেয়।
এদিকে, অপহরণের ১৬ দিন পার হলেও দুই নেত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উক্ত অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।