কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমনে ২ বছরে পর্যটকসহ ৬ জনের মৃত্যু

NewsDetails_01

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমনে গত দু’বছরে পর্যটক সহ ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে পর্যটকসহ স্থানীয়দের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের নৌবাহিনী সড়ক,আগরবাগান,ব্যাংঙছড়ি, শিল্প এলাকা, কামাইল্যাছড়ি ছড়ি, জীবতলী এলাকায় বিগত কয়েক বছর যাবৎ বন্যহাতির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকগুণ। খাবার না পেয়ে বন্যহাতি লোকালয়ে ফসল, বসতঘর এবং দোকানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।

চলতি মাসের ৭ মার্চ নৌবাহিনী সড়ক বন উন্নয়ন ছাত্রাবাস এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীণ পয়তাচল্লিশ উর্ধ্ব একজনকে হামলা করে হাত,পা,বিচ্ছিন্ন করে মেরে ফেলে হাতির দল। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ সকাল ৯ টায় কাপ্তাই – আসামবস্তী সড়কের কামাইল্ল্যাছড়ি এলাকায় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেন ঢাকা তেঁজগাও টেক্সটাইল বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিষেক(২১) পাল।

৫ দিনের ব্যবধানে ২ জনের নির্মম মৃত্যু হওয়ার এই অঞ্চলের আগত পর্যটক, চালক এবং এলাকাবাসির মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। কাপ্তাই শিল্প এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বাবু, লিপি দাশ জানান, সন্ধ্যা হলে তারা এখন হাতির আক্রমণে ভয়ে বাসার বাহিরে যেতে ভয় করছে।

কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব জানান,তার অফিস কার্যালয়ের আশপাশ এলাকায় প্রতিদিন বন্যহাতি ঘুরাঘুরি করছে। হাতি দেখে তিনি এবং তার পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

NewsDetails_03

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ইউএনও মুনতাসির জাহান সকলকে সকাল ৯টার পূর্বে এবং বিকাল ৫টার পর কাপ্তাই-আসামবস্তী সড়ক এবং নৌ বাহিনী সড়কে চলাচল না করার জন্য অনুরোধ করেছেন ।

এদিকে পার্বত্য চটগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ জানান,উক্ত ঘটনায় আমরাও মর্মাহত।

তিনি বলেন,কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের আওতাধীন এলাকায় হাতির আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগামী অর্থ বছরের আগস্ট- সেপ্টেম্বরে ৪কিঃমিঃ করে ৮ কিলোমিটার ফেন্সিং সোলার নির্মাণ করা হবে। এ অর্থ বছরে হওয়ার কথা থাকলেও অর্থ ছাড় না হওয়ার কারনে তা করা করা হয়নি।

ডিএফও রফিকুজ্জামান শাহ আরোও জানান, হাতির করিডোরগুলোতে জনসচেতনমুলক সাইনবোর্ড টাঙ্গানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এলাকার জনসাধারনকে নিয়ে এ সংক্রান্ত দশ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান ।

বনের মধ্যে পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকা এবং বন উজাড় হওয়ার কারনো লোকালয়ে খাদ্যর সন্ধ্যানে এসে বন্যহাতির দল হামলা করছে এবং মানুষের বসতবাড়িসহ ফসলের ব্যপক ক্ষতি করছে বলে এলাকাবাসী জানান। এ ব্যাপারে বন বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

আরও পড়ুন