খাগড়াছড়িতে ডেঙ্গুর হটস্পট মাটিরাঙ্গা পৌরসভা

NewsDetails_01

হাসপাতালে বাড়ছে মশা বাহিত রোগাক্রান্তদের সংখ্যা। জেলা সদর সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আলাদা করে মশারির নিচে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। বিশেষ করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভাকে হটস্পট হিসেবে চিন্হিত করা হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬মাসে জেলায় ৫১ জন্য ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত জুন মাসে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন। এরই মধ্যে ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে মাটিরাঙ্গা পৌরসভাকে। এলাকা বাসির অভিযোগ অপরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধন না করার জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসের ৮ম তম দিনে ৯জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে চৌধুরী পাড়ায় এ রোগীর সংখ্যা বেশি। এরই মধ্যে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ১জনকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ডেঙ্গু রোগী আরিফ হোসেন বলেন, আমার বাড়ি মুসলিম পাড়া আমি একটি কফিশপে চাকরি করতাম। আমার কাপুঁনি দিয়ে জ্বর আসে। প্রচন্ড জ্বরে অসহ্য হয়ে মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হলে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে আমার ডেঙ্গু জ্বরের প্রমাণ মিলেছে।

NewsDetails_03

আরেক রোগী রামশিরা এলাকার আব্দুল হামিদ জানান,জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। পরিক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পরেছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম বলেন, মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। গতকাল হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি ছিলো ও গুরুতর ১ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সকলকে অবশ্যই মশারি ব্যাবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা মাটিরাঙ্গা পৌরসভায় গত জুন মাসে আক্রান্ত হয়েছে ২২জন। তবে চলতি বছর এ রোগে কেহ মারা যান নি।

খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মো. সাবের জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীরা খাবার খাওয়ার সময় পানি খাবে অন্যান্য সময় বেশি বেশি ডাবের পানি, স্যালাইন ও বিভিন্ন প্রকার শরবত খাবে। এতেকরে পানি স্বল্পতা কেটে যাবে ও ডেঙ্গুও ভালো হয়ে যাবে। এ সময় তিনি জ্বর দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন