খাগড়াছড়িতে হত্যাকান্ড : ইউপিডিএফ দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইপিডিএফ প্রসিতপন্থী ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা ও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অপহরণের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি প্রেস বিবৃতি দিয়েছে পাহাড়ের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও ইউপিডিএফ (প্রসিত)।

গত মঙ্গলবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করতে এক বিবৃতি প্রেরণ করেন ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর চাকমা।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ইং পানছড়ি উপজেলাধীন লোগাং ইউনিয়ন অনিল পাড়া এলাকায় এক হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। এতে প্রসীত পন্থী ইউপিডিএফ’র চার নেতা নিহত এবং কয়েকজন অপহরণ হওয়ার ঘটনা দলের পক্ষ থেকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)কে দায়ী করে মনগড়া বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।

ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) প্রতিষ্ঠার পর হতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) অব্যাহতভাবে নিজেদের আভ্যন্তরীন কোন্দল ও অপপ্রচার ঘটনা ঘটিয়ে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) বিরুদ্ধে দায় চাপিয়ে দেওয়া দীর্ঘদিনের কৌশল।

ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এ ধরনের ঘটনার জন্য কোন অবস্থায় দায়ী নয়, সংগঠিত হত্যাকান্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এ ধরনের অপরাজনৈতিক কর্মকান্ড বিশ্বাস করে না। যারা ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা নিঃসন্দেহে জুম্ম জনগনের বন্ধু নয়। ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সংগঠিত হত্যা কান্ড ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি প্রদানের দাবী জানাচ্ছে।

NewsDetails_03

এরআগে মঙ্গলবার(১২ ডিসেম্বর) ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মিডিয়া শাখার প্রধান নিরণ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে পাঠাতে এক যুক্ত বিবৃতিতে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংকন চাকমা এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।’

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য, ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলোর সন্ত্রাসী অপতৎপরতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নেই তা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আর একবার প্রমাণিত হলো।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, খুন-গুম করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যায় না। অতীতে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা করার পরও ইউপিডিএফকে আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না।

তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টিকারী এই ঠ্যাঙাড়ে খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায় এলাকায় গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। (প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে) ১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ও ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচি সফল করার সকল শ্রেণী-পেশার জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন