চাহিদা বেশি ,বরাদ্ধ কম : বিদ্যুতের ভোগান্তীতে বান্দরবানের গ্রাহকরা

NewsDetails_01

বান্দরবানে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া লোড শেডিংয়ের কারণে নানান ধরনের কর্মকান্ড বিঘ্নিত হচ্ছে, ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। অনেকেই ক্ষোভ ঝাড়ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আর অনেকে এই বিদ্যুৎ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছে সরাসরি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় প্রায় অর্ধেক পরিমাণ সরবরাহ পাওয়ায় লোড শেডিং চলমান রয়েছে।

বান্দরবান বাজারে অনলাইনে আবেদন করতে আসা মো: রফিক বলেন, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন আবেদন থেকে শুরু করে অসংখ্য কাজ কম্পিউটারে অনলাইনে করতে হচ্ছে। যে কাজ করতে কম্পিউটারে ২০ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার কারণে দুই ঘন্টায়েও শেষ করতে পারছিনা। নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে আমাদের ভোগান্তী অনেকটাই কম হত।

বান্দরবানের প্রধান সড়কে অবস্থিত একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মো.ফেরদৌস বলেন, দিনে রাতে কয়েকবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ ঠিকমত না থাকায় আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে কষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, অনেক সময় ক্রেতাদের কাজ কম্পিউটারে করার পর প্রিন্ট দিলে বিদ্যুৎ চলে যায় । আর ক্রেতাদের কাগজ আটকে বসে থাকে প্রিন্টারে । আর অনেকক্ষণ পরে বিদ্যুৎ আসলেও ওই ক্রেতা চলে যায় টাকা না দিয়ে,আর আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয় সবচেয়ে বেশি।

NewsDetails_03

বান্দরবানের বালাঘাটার বাসিন্দা মো.আইয়ুব জানান,একটু বৃষ্টি বা বাতাস হলেই বান্দরবানে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায় কয়েকঘন্টা । আর তারমধ্যে লোডশেডিংতো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরো বলেন, বান্দরবানের লোডশেডিং চরম পর্যায়ে চলে গেছে এই অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণ চাই।

সুত্রে জানা যায়, বিদ্যুত বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের আওতায় বান্দরবান জেলা সদরে ১৭ হাজার ৮৫৩জন,রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১হাজার ৮শ জন, থানচি উপজেলায় ১হাজার ২০০ জন আর রুমা উপজেলায় ২হাজার জন গ্রাহক রয়েছে, কিন্তু চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় দিন দিন বান্দরবানের লোডশেডিং চরম ভোগান্তীর পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন জানান, বান্দরবানের বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা ভয়াবহ। তিনি আরো বলেন,আমাদের চাহিদা হলো প্রায় ১১মেগাওয়াট আর আমাদের বরাদ্ধ পাওয়া যাচ্ছে ৬মেগাওয়াট আর তাই আমাদের লোডশেডিং বেশি করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন জুলাই মাসের ৩,৪ ও ৫ তারিখ আমাদের শেডিং চলেছে। আমাদের আওতায় ১৭টি ফিডার রয়েছে তারমধ্যে ১ঘণ্টা পরপর পালাক্রমে প্রতিটি ফিডারে শোডিং করতে হয় আর এর ফলে গ্রাহকদের সাময়িক কষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঢাকার ন্যাশনাল লোড ডিস্টিবিউটর থেকে চাহিদা মাফিক পর্যাপ্ত বরাদ্ধ দেয়া হলে আমাদের লোডশেডিং থাকতো না। চাহিদা বেশি,বরাদ্ধ কম তাই সবাই লোডশোডিং এ কষ্ট পাচ্ছি।

আরও পড়ুন