ডাক্তার রোমেলের উপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রোমেল চাকমার উপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক সমাজ।
আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের গেইটের সামনে রাঙামাটি সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। এটা দুঃখজনক। একজন ডাক্তারের ওপর হামলা এটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসি ভাল লক্ষন বলে উল্লেখ করেন তারা । তারা অনতিবিলম্বে ডাঃ রোমেলের ওপর হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রনুমিত্র চাকমার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার অঞ্জুলিকা খীসা, প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক হিমেল চাকমা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত: ডাক্তার রোমেল প্রতিদিন চেম্বার শেষ করে শরীর চর্চার জন্য রায় বাহাদুর সড়কে সাইক্লিং করেন। ঘটনার দিন একটি বোপোরোয়া মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে গাড়িতে থাকা লোকজন গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি মারধর করে মারাত্মক আহত করে। পরে গত ২৩ জানুয়ারী হামলার ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে ফৌজদারি নালিশ দায়ের করেন ডাঃ রোমেল। বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু হানিফ নালিশ আবেদনটি আমলে নিয়ে নালিশে থাকা প্রথম তিনজন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও বাকীদের সমন জারি করেন। যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন মো. শামীন আলম (৩৫) পিতা অজ্ঞাত, মো. আহাদ (৩২), পিতা অজ্ঞাত এবং আনুশা চৌধুরী (২০) পিতা অনিমেষ চৌধুরী। এ মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন প্রিসলি চৌধুরী (২৮), শর্মিষ্ঠা রায় (৫৫), পরাগ রায় (চন্দন রায়) (৫৫) এবং তুর্বান রায় (৩০)।