ডেবে যাওয়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে হাজার মানুষের চলাচল

NewsDetails_01

কয়েকটি গ্রামের একমাত্র চলাচলের সম্বল পাহাড়ের ঝিরি উপর তৈরীকৃত ৩০ বছরের পুরানো গার্ডার সেতু। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু গত বছরে বন্যাতে সেতুটি ডুবে যায়। যার ফলে এখন ব্রিজের এক পাশে ডেবে গেছে। ডেবে যাওয়ার একপাশ পিলার ও ধবসের পড়ার অবস্থা। এমন চিত্র দেখা গেছে বান্দরবানে সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের ক্যমলং পাড়াতে ।

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের সেতুর উপর চলাচল করে প্রায় দেড় হাজার পরিবারের মানুষ। ঝিড়ি উপর নির্মিত এই সেতুটি এলাকাবাসীদের এক মাত্র ভরসা। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে মাহিন্দ্রা, ট্রাক, সিএনজিসহ বিভিন্ন রকমের যানবাহন করে থাকেন। কিন্তু গেল বছরের ভারী বন্যার কারণে ডুবে যায় সেতু্টি । এরপর ধ্বসে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে সেতুর একপাশে ডেবে যাওয়াতেই যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিড়ি উপর তৈরী করা হয়েছে সেতুটি। বন্যার পর একপাশ ডেবে যাওয়াতেই সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর নীচের অংশের কংক্রিট ধ্বসে পড়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় সেতুটি পড়ে যাওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে। তার উপরে ঝুকিঁ নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। সেতুটি দিয়ে এখনো শিক্ষার্থীরসহ সর্বসাধারণে মানুষ চলাচল করছে। সেতুটি ধ্বসে কিংবা ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে জেলা শহরে সাথে যোগাযোগের বিচ্ছিন্ন পাশাপাশি নানা সমস্যা সম্মুক্ষীন হবে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।

NewsDetails_03

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামের চলাচলের একমাত্র ভরসা এই সেতুটি। গত বছর ভারী বন্যাতে সেতুটি ডুবে যাওয়াতেই এখন একপাশে ডেবে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে কয়েকহাজার মানুষ চলাচল করতে হচ্ছে। কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেটি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছে তারা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়েও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে নাহ । তাছাড়া সেতুটি ব্যবহার করা না গেলে ২১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১০ কিলোমিটার সড়ক অচল হয়ে পড়বে। এতে যেমন সড়ক জরাজীর্ণ পরিণত হবে তেমনি কয়েকহাজার মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।

সেতুটি পাশে চায়ের দোকানদার সানু চিং ও মাহিন্দ্রা চালক উমং থোয়াই মারমা বলেন,এই সেতু দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। কৃষি পণ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন মালামালের যানবাহন চলাচল করে। গাড়ি করে যখন সেতুটি দিয়ে পাড় হয় তখন ভয় করে। মনে হয় সেতুটি ভেঙ্গে পরে যাচ্ছে। কখন যে দুর্ঘটনা পড়ে সেটি নিয়ে আমরা চিন্তায় আছি।

কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমা জানান, গত বছর বন্যাতে ডুবে যাওয়াতেই সেতুটি এক পাশে ডেবে গেছে। তাছাড়া সেতুটি ৩০ বছরের পুরানো। এই সেতু দিয়ে সারাদিন মানুষ চলাফেরা করছে। সেতুটি ধ্বসে গেলে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হাসান মজুমদার বলেন, সড়ক নির্মাণের সময় সেতুটি ভালো থাকায় নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। এখন সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণ করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন