দেশে ফিরতে রাজি হলেই পাঁচ লাখ টাকা পাবে প্রত্যেক রোহিঙ্গা

NewsDetails_01

ছবি : রোহিঙ্গা
মিয়ানমারে ফিরতে রাজি হলে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ সহয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গুঝিয়াং। সম্প্রতি বাংলাদেশের কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন। ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম বেনার নিউজের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) মহাসচিব সায়েদ উল্লাহ জানিয়েছেন, ‘গত ৩ মার্চ চীন সরকারের এশিয়া বিষয়ক দূত সুন গুঝিয়াং কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ১৪ জন রোহিঙ্গা নারী ও ১৫ জন রোহিঙ্গা পুরুষের সঙ্গে আলাপ করেছেন। পাঁচ থেকে ছয় হাজার ডলার দিলে আমরা দেশে ফিরে যাব কিনা সে বিষয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন’।

NewsDetails_03

রাখাইনে ফিরে রোহিঙ্গারা যেন বাড়ি-ঘর তৈরি করে স্বাভাবিক জীবণে ফিরে যেতে পারেন সে কারণেই চীনের তরফ থেকে তাদের অর্থ সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর উত্তরে এআরএসপিএইচ মহাসচিব সায়েদ উল্লাহ জানান, ‘আমরা তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের নাগরিকত্ব দেওয়া না হলে এবং আমাদের দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত আমরা কোনভাবেই ফিরে যাব না বলে জানিয়েছি’।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে অভিযানের নামে বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে, নির্বিচারে গুলি করে রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হয়। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিপক্ষে রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ ও গণধর্ষণেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে মিয়ানমারের তরফ থেকে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বার বার। যদিও জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন বলে উল্লেখ করেছে। জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের বেশ কিছু পুলিশ ও সেনা পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রাখাইনের বিভিন্ন গ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে বাধ্য হয়ে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা।

আরও পড়ুন