নির্মাণের আগেই ধ্বংসের শেষ প্রান্তে মাটিরাঙ্গার প্রস্তাবিত টাউন হল

১৯ বছরেও সংস্কৃতিককর্মীদের আক্ষেপ ঘুচেনি

NewsDetails_01

আজকের তারুণ্যসমাজ মাদকসেবী, সংস্কৃতিমুখী নয়, এমন কথা নিয়মিত বলেন অনেকে। কিন্তু সংস্কৃতি চর্চার আয়োজনের স্থান যদি নিরবে ধ্বংস হয় সময় এমন নীরবতা মেনে নেওয়া কঠিন।

যেখানে স্থানীয়দের শারীরিক কসরত বা খেলাধুলায় মেতে থাকার দরকার ছিল, কথা ছিল শিক্ষার্থী কিংবা পড়ুয়ারা অবসরে বই পড়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাবেন; সেখানে এসবের কিছুই নেই।
টাউন হলের উন্মুক্ত পরিসর থেকে কিশোর-কিশোরীদের উৎসারিত আনন্দ ধ্বনি কিংবা হলরুম থেকে নাটকের সংলাপ কিংবা সংগীতের সুমধুর সুরের পরিবর্তে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার প্রস্তাবিত টাউন হল এখন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা সময়ের দাবি। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার একমাত্র প্রস্তাবিত টাউন হলটি তৈরির কাজ শুরু হয়েই আটকে আছে প্রায় ১৯ বছর ধরে। নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ও ভবন ভেঙে পড়েছে।

অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া নির্মাণাধীন টাউন হলটি সম্পূর্ণ তৈরি না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় আর মাদক সেবন ও কিশোর গ্যাং এর আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে ভবনটি। পুরনো প্রাচীর ও ভবন ভেঙে নতুন করে টাউন হল তৈরির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

NewsDetails_03

মাটিরাঙ্গা পৌরসভা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় মাটিরাঙ্গা পৌরসভা কার্যালযয়ের পিছনে ২০০৪ সালে ২৫ লাখ টাকার বরাদ্দে টাউন হল নির্মাণকাজ শুরু হয়। সীমানা প্রাচীর ও ভবনের অর্ধেক কাজ হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টাউন হলের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে, পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। ভবনের কক্ষগুলো জঙ্গলে পরিনত হয়েছে। ভবনের বাইরের চারপাশের দেয়ালে শ্যাওলা ও বিভিন্ন গাছ জন্মেছে।

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু ইউছুফ চৌধুরী জানান, বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ২০০৪ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে টাউন হল টি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ নিয়ে নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মাটিরাঙ্গা পৌরসভার সদর ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মাটিরাঙ্গায় সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার জন্য কোনো জায়গা নেই। টাউন হল নির্মান হলে তারুণ্য সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ পেলে মাদকসেবী না হয়ে সংস্কৃতিমুখী হবে।

মাটিরাঙ্গা পৌরভসার মেয়র মো. শামছুল হক বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে মাটিরাঙ্গা জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা। যেখানে সভা, সেমিনার, বিভিন্ন সংস্কৃতি চর্চার জন্য একটি টাউন হল অতিব প্রয়োজন।

আরও পড়ুন