বনফুলে নিন্মমানের মিষ্টি রাখার দায়ে সাবেক শিবির নেতা খোরশেদ কারাগারে

বান্দরবান

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরে নিন্মমানের মিষ্টি বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ও বিক্রির দায়ে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক নেতা, বনফুল এন্ড কোং এর বান্দরবান শাখার মালিক খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার (৫ জুলাই) বান্দরবান চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক এএসএম এমরান এ আদেশ প্রদান করেন। অভিযুক্ত খোরশেদ আলমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোরশেদ আলম বান্দরবান শহরের ৪ নাম্বার ওয়ার্ড ক্যাংভিটা এলাকার মৃত লোকমান হাকিমের ছেলে।

বান্দরবান কারাগারে নেওয়া হচ্ছে সাবেক শিবির নেতা খোরশেদ আলমকে। ছবি-পাহাড়বার্তা

আদালত সুত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন বেলা ১২ টায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৫২ ঙ ধারা মতে নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা শুভ্র দাশের নেতৃত্বে শহরের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ সড়কের বনফুল এন্ড কোং এর শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বিক্রয়ের জন্য নিন্মমানের মিষ্টি দ্রব্য (রসমালাই) রাখার দায়ে বনফুল এন্ড কোং বান্দরবান শাখার মালিক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার শুভ্র দাশ বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, এরই প্রেক্ষিতে বুধবার খোরশেদ আলম আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে জামিন আবেদন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন।

বান্দরবান জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার শুভ্র দাশ জানান, নিন্মমানের মিষ্টি সামগ্রী বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখার দায়ে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

বান্দরবান চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোট পুলিশ পরিদর্শক একে ফজলুল হক জানান, নিরাপদ খাদ্য অফিসারের দায়ের করা মামলায় বান্দরবান বনফুল এন্ড কোং এর মালিককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত,বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ এর ৯০-৯১ সেশনে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ভূপাল পাল এবং ইসলামি ছাত্র শিবিরের প্যানেল থেকে জিএস নির্বাচিত হন বনফুল এন্ড কোং এর বান্দরবান শাখার মালিক এই খোরশেদ আলম।

আরও পড়ুন