বান্দরবানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

NewsDetails_01

বান্দরবানের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার এক নারীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ (৩৯) বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী। সোমবার দুপুরে ধর্ষনের অভিযোগ এনে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

সোমবার (২৩ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার ব্যাপারে তথ্যটি নিশ্চিত করেন, বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম।

মামলার বাদীর আইনজীবি চেম্বারের তথ্যে মতে, ২৩ মে বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত বরাবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(১) ধারা ও তৎসহ দন্ডবিধি ৫০৬ (২) ধারার ধর্ষনের আইনে বাদী পক্ষ হয়ে আইনজীবী দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত এই মামলাটির দায়ের করেন।

এদিকে এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা বিভিন্ন কায়দায় কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী সাথে। এক পর্যায়ের ঐ নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের প্রস্তাব নাকোচ করার পর তিনি এক পর্যায়ের কোরআন শরিফে শপথ করে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। পরবর্তীতে গেল ২০১৯ সালে ৪ জুলাই বিকালে ঐ নারীকে নিজের অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, কয়েকদিন পর পর শারিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হতে না পারলে এই নারীকে নিজ মোবাইলের ইমো’র ভিডিও কলের মাধ্যমে হয়রানি করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মহিলাটি বিয়ে জন্য ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ- পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) মীর মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহকে অবগত করলে ও কোরআন শপথ এর কথা মনে করিয়ে দিলে ভুক্তভোগী নারীকে নিজের গোপন কক্ষ থেকে বের করে দেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা। এই বিষয়ে মুখ খুললে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন তিনি।

অভিযুক্ত মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি না হলেও অফিসের একটি রুমকে শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করেন বলে জানিয়ে তিনি বলে, অফিসের ভেতর আমার শয়নকক্ষে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।

বান্দরবান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার এস এম মাইনুল ইসলাম নিশ্চিত করে তিনি বলেন, গত ২৩ তারিখে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা শুনানী শেষে ট্রাইব্যুনাল ট্যুরিষ্ট পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বান্দরবান ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখনও এ ধরনের কোনও মামলার কপি এখনও হাতে পাইনি, পেলে জানাতে পারবো।

আরও পড়ুন