মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া মর্টারশেল এবার বসতবাড়িতে

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে আশপাশ- এলাকাগুলোতে সপ্তাহজুড়ে মিয়ানমারের সীমান্তের অভ্যন্তরের সরকার এবং বিদ্রোহীদের যুদ্ধের গুলি-মর্টরশেল, বোমা এসে পড়েছে একাধিক বার ।

এবার যুদ্ধের স্থান পরিবর্তন করে ঘুমধুম সীমান্তের ঠিক ওপারের ডেকোবুনিয়া এলাকার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ২নং ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে এলাকা থেকে মর্টরশেল এসে দক্ষিণ ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে বেতবুনিয়া এলাকার ছৈয়দ নুর শিকদারের বাড়ীর জানালায় আঘাত এনেছে ।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এলাকাবাসীসহ ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এমকেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।

৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ঢেকোবুনিয়া এলাকার মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী পুলিশ (বিজিপি) ২নং ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প এলাকায় তুমুলযুদ্ধে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। আনুমানিক সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ একটি মটরশেল এসে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ছৈয়দ নুর সিকদার ও সাবেক লে:নায়েক ডা: নুরুল ইসলামের সীমানার গাছে ছিটকে গিয়ে ছৈয়দ নুর শিকদারের বসত ঘরের এক পাশে আঘাত করে। তবে মানুষের কোন হতাহত হয়নি।

স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার সকাল থেকে ওপারের ঢেকোবুনিয়া এলাকার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ২নং ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প রয়েছে। ঠিক সেখান থেকে সকাল ৯টার দিকে একটি মর্টারশেল এসেছে ছৈয়দ নুরের বাড়ীর আঙ্গিনায়। ঘরের জানালায় আঘাত করে মমর্টারশেলটি।

এদিকে রাতে গোলাগুলির শব্দ কমশুনা গেলেও সকাল ৬টা থেকে প্রচন্ড শব্দ শোনা যাচ্ছিলো।
সীমান্তে যুদ্ধের বিস্ফোরনের আওয়াজে আর সীমান্তের এপারে হতাহতের সংখ্যা বাড়লে আতংকিত হয় এলাকাবাসী।

NewsDetails_03

তাঁরা আরও জানান, সীমান্তের তুমব্রু এলাকার ওপারে সপ্তাহজুড়ে যুদ্ধের গোলাগুলিমর্টারশেল,গ্রেনেটের আওয়াজ শুনে আসছিলাম। এখন হয়তো সেদেশের সরকার আর বিদ্রোহী গোষ্ঠী মধ্যকার যুদ্ধে স্থান (যুদ্ধক্ষেত্র) পরির্বতন করেছে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসীরা।

আর এদিকে, গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলে বাংলাদেশি এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

মর্টারশেল পড়ারবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া। তিনি বলেন, একটি মর্টারশেল ছুঁড়ে এসে ছৈয়দ নুর নামক এক ব্যাক্তির বসতঘরের পড়েছে বলে খবর পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে গত বছর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) লড়াই চলছে। মাঝে কিছুদিন উত্তেজনা কমে এলেও সপ্তাহ ধরে আরও দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় মাঝেমধ্যে মর্টারশেল ও গুলি বাংলাদেশে এসে পড়ছে।

মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। এ নিয়ে সীমান্তের পাশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।##

আরও পড়ুন