মুজিব শতবর্ষে লামায় ঘর পাচ্ছেন আরও ২০০ পরিবার

NewsDetails_01

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বান্দরবানের লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের আরও ২০০ হত দরিদ্র পরিবার পাচ্ছেন বিনামূল্যে বিশেষ ডিজাইনের সেমি পাকা ঘর। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রতি ঘরে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হারে এতে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যারা ঘর পাচ্ছেন তারা এক সময় ঝুপড়ি ঘরে জরাজীর্ণ জীবনযাপন করতেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের মতো গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী। এরই ধারাবাহিকতায় লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২০০টি বিশেষ ডিজাইনের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নে ২৯টি, লামা সদর ইউনিয়নে ৪৩টি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ১২টি, আজিজনগর ইউনিয়নে ২৫টি, রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ৪৪টি, ফাইতং ইউনিয়নে ২৩টি ও সরই ইউনিয়নে ২৪টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি শয়ন কক্ষ, একটি টানা বারান্দা, শৌচাগার সহ রান্না ঘর।

উপকারভোগীদের তালিকা অনুযায়ী গৃহ নির্মাণের স্থান নির্বাচন ও জমি পরিদর্শনের কাজ শেষে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে গত জানুয়ারী মাস থেকে প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ৯ মার্চ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শতাধিক ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, আবার বেশ কয়েকটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, আবার কিছু ঘরের টিন আর রং লাগানো বাকী রয়েছে।

NewsDetails_03

লামা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম লাইনঝিরি গ্রামের প্রতিবন্ধী বাসিন্দা সফিউল আলমের স্ত্রী পেয়ারা বেগম ও নুনারঝিরি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা রাশেদা বেগম বসবাস করতেন ঝুঁপড়ি ঘরে। তারা জানায়, অভাবের সংসারে কখনো নতুন করে সেমি পাকা ঘর তৈরী করার স্বপ্ন কল্পনাতেও আসেনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কর্যালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে পাওয়া তাদের সেমিপাকা একটি ঘর হচ্ছে।

এদিকে রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে গৃহহীন পরিবারকে বিশেষ ডিজাইনের ঘর দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মজনুর রহমান বলেন, ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’-এ শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে উপজেলায় আরো ২০০টি ঘরের কাজ ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আশা করি চলতি মাসের মধ্যেই উপকার ভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে উঠতে পারবেন।

আরও পড়ুন