রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন মেরামত কাজে নয়-ছয়

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি মাত্র বিদ্যালয় রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। সে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘিরে পাহাড়ে বসবাসরত ছেলে এবং মেয়েরা শিক্ষা আলোর গ্রহণ করছে। বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ও শিক্ষা ভবনটি নির্মিতব্য দীর্ঘ বছর হওয়ায় ভবনে প্লাস্টার করা অংশগুলো ঝরড় পড়ছে। ভবনে জানালাতে থাকার গ্লাসটিও ভেঙ্গে পড়ে গেছে। যার ফলে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে রোয়াংছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে আবকাঠামো হিসেবে শিক্ষা ভবন ও প্রশাসনিক ভবনসহ পৃথকভাবে দুটি ভবন রয়েছে।

আরো জানা গেছে, ভবনটি পুরাতন হওয়ায় মেরামত করতে দুটি ভবনের প্রাক্কলিত মূল্যে বরাদ্দে পৃথকভাবে দুটি প্যাকেজ করে শিক্ষা ভবনের ৪ লক্ষাধিক এবং প্রশাসনিক ভবনে সাড়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণে কাজে টেন্ডার আহ্বান করেন বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে।

এতে বান্দরবান নিবাসী ঠিকাদার মো: মান্নান এবং অপরজন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নিবাসী মৌলানা মো: সুলতান আহাম্মদ নামে দুটি টেন্ডার ড্রপ করেন। পরে টেন্ডার খোলা হলে ঠিকাদার মো: মান্নান পায় প্রশাসনিক ভবন মেরামতে কাজ এবং ঠিকাদার মো: সুলতান আহাম্মদ পায় শিক্ষা ভবনের মেরামতে কাজ। এ ঠিকাদার দ্বয় টেন্ডার কাজটি পেয়ে যার যার মতো মেরামতের কাজ শুরু করেন। দুইজনের মধ্যে ঠিকাদার মো: মান্নানের দ্রুত কাজ করতে গিয়ে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নামে মাত্রই কাজ করে চলেছে। তিনি নয়-ছয় করে বরাদ্দ অর্থগুলো অফিসের সাথে যোগসাজশে পকেট ভারী করা প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

NewsDetails_03

এদিকে দীর্ঘ বছর পর বিদ্যালয় ভবনে মেরামত কাজটি পেয়েও টেকসই ভাবে কাজ না করায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবন মেরামতের কাজ ব্যাপক অনিয়ম দেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসীরা।

বিদ্যালয় ভবন মেরামত কাজে মিস্ত্রি মো: মিজান বলেন, আমাদের কোন দোষ নাই, ঠিকাদার যা বলছে তাই তাই আমরা করছি। ঠিকাদারে কথার বাইরে কাজ করলে আমাদেরকে আর কাজ দিবে না।

ঠিকাদার মো: মান্নান সাথে কথা বলতে মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিয়েও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্তর) প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস ছবুর বলেন, নির্মাণের সিডিউল আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। তবে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করে দিতে হবে। ঠিক ভাবে কাজ না হলে কাজ তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা (প্রকৌশলীকে) বলে বিল না দিতে বলা হবে।

বান্দরবান শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এসও) মো: সাজ্জাদ বলেন,আপনাকে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে দেওয়া হবে। এছাড়া কার্য সিডিউলে যা যা আছে সেই অনুযায়ী ঠিকাদারকে কাজ করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন