লামায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় বাস চালক নিহত : আহত ২৯

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় বাস চালক নিহত ও ২৯ বাস যাত্রী আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে ফাঁসিয়াখালী-লামা সড়কের মিরিঞ্জা মাদানীনগর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। নিহত বাস চালকের নাম মো.আনোয়ার হোসেন (৫০)। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা এলাকার সোসাইটি পাড়ার বাসিন্দা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যরা আহতদেরকে উদ্ধার করে লামা ও চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জোৎস্না দে (২০), শুভশ্রী (১০), রূপম চাকমা (২), জহর লাল (৫৫), নুর মোহাম্মদ (২৮), মোঃ সোহেল (৩২), রাজশ্রী দে (২), নুরুল আলম (৩০), হাসনা বালা (৬০), মনু আলম (৩৫), তপন (৩৮), সরওয়ার (২৫), মোঃ রফিক (৩০), সরওয়ার আলম (৫৫), মোঃ সাহেদ (৬৫), শিব সংকর (৩৭), জেসি মার্মা (২২), আবুল হোসেন (৫৫), বাসের হেলপার মো. বেলাল (২৪), মেরি আক্তার (৪৫), মোহছেনা বেগম (৪০), আকিব (১০), ইমু (৬), জিহান (১৮), জাহানারা বেগম (৪৮), পাখি বালা (৭০) সহ ১৬ জন। তাৎক্ষণিকবাবে অন্য আহত ব্যক্তিদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতরা সবাই উপজেলা ও পাশের চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে ১০জনের অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে লামা থেকে যাত্রী বোঝাই করে একটি ৪৫ সিট বিশিষ্ট বাস চকরিয়া উপজেলায় যাচ্ছিল। বাস গাড়িটি সড়কের মাদানি নগর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে বাসের উপর চাপা পড়ে। এতে বাসে থাকা যাত্রীরা আহত হন।

NewsDetails_03

সড়কে চলাচলকারী বাস চালক নুর মোহাম্মদ বলেন, বাহিরের গাড়ি উপজেলায় ঢুকলে চকরিয়া থেকে স্থানীয় ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি চালানো নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ইদানিং এই নিয়ম মানা হচ্ছে না, যার কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক রায়হান জান্নাত বিলকিছ সুলতানা বলেন, বাস দুর্ঘটনায় হাসপাতালে মোট ১৯ জন আহত রোগী আসে। তম্মধ্যে আশংকাজনক হওয়ায় ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি দেয়া হয় ৩ জনকে। বাকী ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স’র সাব অফিসার মো. আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে অন্য সদস্যরা। তারা বলেন, এত হতাহত হয়েছে যে, আমরা কাকে রেখে কাকে নিব বুঝতে পারছিলাম না। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে রাস্তার উপরে পড়ে থাকা বাস ও কাভার্ড ভ্যানটি অপসারণ করে সড়কের যোগাযোগ সচল করে দিই।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করে আহতদের খোজঁখবর নেন, পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল।

আরও পড়ুন