সড়ক প্লাবিত হয়ে বান্দরবানের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

NewsDetails_01

বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। ছবি-ইয়াছিনুল হাকিম চৌধুরী
টানা পাঁচদিনের অব্যাহত বর্ষনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক পথের বডদুয়ারাসহ বিভিন্ন এলাকা পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সূত্রে জানা যায়,সড়ক প্লাবিত হওয়ার ফলে কোনো দূরপাল্লার যানবাহন বান্দরবান ছেড়ে যায়নি। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে আসা বাসগুলোও আটকা পড়েছে বাজালিয়ায়। যাত্রীরা পানিতে ডুবে থাকা সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ ভ্যান, নৌকা এবং পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন। পার হতে গিয়ে দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
চট্টগ্রাম থেকে আসা বাস যাত্রী মো: ফোরকান জানান, সড়ক পানিতে ডুবে গেছে, তাই বেশি ভাড়া দিয়ে নৌকায় পার হয়ে উভয় পাড়ে পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এদিকে জেলার সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে থানচি উপজেলার জিন্না পাড়াসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় ৩০ জনের অধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। থানচির রেমাক্রি, বড়মদক, নাফাখুমসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকার কারনে সেখানে কতজন পর্যটক আটকা পড়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান পাচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌ ও পাহাড়ী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ন হওয়ার কারনে গত শনিবার থেকে জেলার রুমা ও থানচি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা গুলোর দূর্গম বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটক যাতায়ত বন্ধ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে থানচির পর্যটক গাইড নাজমুল ইসলাম ইমন বলেন,শুধু থানচির জিন্না পাড়ায় ২০ পর্যটক আটকা পড়েছে, অন্য পর্যটন স্পটেও আরো পর্যটক আটকা পড়তে পারে।
গত সোমবার সকালে চিম্বুক এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে পড়ে বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও বিকালে পাহাড়ের মাটি সরিয়ে ফের সড়ক যোগাযোগ চালু হয়।
বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ঝুন্টু দাশ বলেন,বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে পানি বৃদ্ধির কারনে আমরা আমাদের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি।
প্রসঙ্গত,টানা বর্ষন ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদের আশ্রয়ের জন্য বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে, ইতিমধ্যে ৬৫০টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করেছে জেলা প্রশাসন এবং তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন