করোনা সংকটে অনিশ্চিতায় কাপ্তাইয়ের ৯০০ সিএনজি চালকের জীবন
রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি – ঘাগড়া সড়কে দীর্ঘদিন ধরে গাড়ী চালাইয়ে পরিবার চালায় ষাটোর্ধ বয়সী সিএনজি চালক উষা মারমা, মো: ইব্রাহিম। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেমন চলছে এই প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, খুব অভাব অনাটনে এই দিনগুলো চলছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাস্তায় গাড়ী চলাচল সীমিত এবং যাত্রী না থাকায় অনেকে এখন ঘরবন্দী।
আজ মঙ্গলবার(৩১ মার্চ) সকাল ১০.৩০ মিনিটে কাপ্তাই উপজেলা সদর সিএনজি স্টেশনে কথা হয় চালক মো: বাবুল, মো: কাদের ও সুইলাচিং মারমার সাথে। তারা সকলে জানান, তারা কেউ সরকারি বরাদ্দ পাই নাই। কেউ খবর রাখে না তাদের।
রাঙামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন বড়ইছড়ি শাখার সভাপতি মো: আমির হোসেন জানান, তাদের সমিতির আওতায় প্রায় ৩০০ জনের কাছাকাছি সদস্য রয়েছে, এই মুহুর্তে সকল সিএনজি চালকরা বেকার হয়ে বসে আছে, সংগঠনের কল্যান ফান্ড না থাকায় কাউকে সহায়তা করতে পারছি না, তাই সকলকে সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
কাপ্তাই নতুনবাজার অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক ইমাম আলী জানান,চালকরা এখন মানবতার জীবন যাপন করছেন, কোন সরকারি বরাদ্দ তারা পান নাই, তাই এই সংকটকালীন মূহুর্তে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সকলের নিকট অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মুঠোফোনে কথা হয় কেপিএম অটোরিকশা সমিতির সভাপতি মো: শাহজাহান জানান, তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩০০ জন সদস্য আছেন, সবাই রাস্তার এখন গাড়ী নিয়ে বের হতে পারছেনা বিধায় আয় রোজগার এর পথ বন্ধ। এখন যদি প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে না আসে তাহলে তাদের অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হবে।
এই বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, এই মূহুর্তে কোন অসহায় গরীব সিএনজি,ভ্যান এবং রিক্সা চালক সরকারি সাহায্য হতে বঞ্চিত হবেন না, সকলের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।