বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার রোগী কর্মচারীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচিত ও সমালোচিত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুর রহমান ১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও সদ্য বদলী করা থানচিতে যোগদান করেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশকে উপেক্ষা করে নিজের পছন্দের জায়গায় যেতে বদলীর আদেশের পর থেকে উর্ধ্বতন মহলে জোরেশোরে তদবির করছেন ডাক্তার শহিদুর রহমান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে প্রশাসন শাখার পরিচালক ও প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ বদলীর আদেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তৃতীয় কর্মদিবসের মধ্যে দায়িত্বভার হস্তান্তর করতে হবে, না হলে উক্ত কর্মস্থল হতে চতুর্থ কর্মদিবস হতে অবমুক্তি হিসেবে গণ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত থাকলেও তা মানেননি এই কর্মকর্তা। উল্টো থানচিতে যোগদান না করে নিজের পছন্দের উপজেলায় যাচ্ছেন এ কর্মকর্তা।
এবিষয়ে ডাঃ শহিদুর রহমান বলেন,আগের বদলী আদেশটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, তাই থানচিতে যোগদান করিনি। নতুন বদলীর আদেশটি খুব শীঘ্রই চলে আসবে।
বান্দরবান জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুইপ্রু মারমা জানান, আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে ডাঃ মোঃ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী আগামীকাল যোগদান করবে। ডাঃ মোঃমাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সিভিল সার্জন অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, ডাঃশহিদুর রহমানকে নতুন ভাবে লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে গতরাতে (১০ মার্চ) বদলীর অর্ডার হয়েছে ।
তিনি আরও জানান, ডাঃ শহিদুর রহমানের বিভিন্ন বিষয়ে আলীকদমের বিভিন্ন পেশার মানুষ ও কর্মচারীর সাথে তার দুরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। ডাক্তারী হলো সেবা পেশা, ডাক্তারের প্রধান উদ্দেশ্য হলো সেবা করা। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা যোগদানের পর এই সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান।
ডাঃ শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আলীকদম থেকে রোগী নিয়ে গাড়ী চালানো ও মাঝপথে পটিয়ায় রোগী নামিয়ে দিয়ে গাড়ী নিয়ে চলে যাওয়া। এক কর্মচারীর স্বামীকে আরেক কর্মচারী কর্তৃক ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও পরবর্তী বিচারের নামে কর্মচারীর স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য এক কর্মচারীর পুত্র বধুর কাছ থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষী নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই বিষয়ে পার্বত্য জেলার জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল পাহাড়বার্তায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন সময় কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ ও পছন্দ না হলে শোকজসহ নানা হয়রানি করতেন। পক্ষপাত আচরণ, অর্থনৈতিক, কর্মস্থলে না থাকাসহ অনেক অভিযোগ ও নানা বিষয়ে আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিলেন এ কর্মকর্তা।