এ প্রথম কোন বড় অফিসার ত্রাণের জিনিস দিতে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) আমাদের বাড়ীতে এসেছে। আমাদের ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অসুবিধার কথা শুনেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বস্ত দেন। ইউএনও কর্তৃক ত্রান সামগ্রী ঘরে পৌছে দেওয়ার কারনে কথাগুলো বলছিলেন বান্দরবানে আলীকদম উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পাখি চন্দ্র কর্মকার (৮০) ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমর আলী।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে লক ডাউনের চতুর্থ দিন চলছে। উপজেলার ঘর বন্দি দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে নিজেই ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল।
আজ শনিবার (২৮মার্চ) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আলীকদম উপজেলার চার ইউনিয়নের ঘরবন্দী কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ত্রাণ সামগ্রী দূঃস্থ ও অসহায় মানুষের ঘরে পৌঁছে দেন। এলাকা ভেদে এসময় উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম,আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন,সদরে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দীনসহ স্ব ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা।
আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সায়েদ ইকবাল বলেন, ঘর থেকে কাউকে অপ্রয়োজনে বের না হতে প্রতিদিন বলছি। দূরত্ব বজায় রাখার কথাও বলছি। খেটে-খাওয়া মানুষ গুলো ত্রাণ সামগ্রীর জন্য ঘর থেকে বের হোক এবং ত্রাণের জন্য জনসমাগম হোক সেটি চাই নি। তাই ঘরে ঘরে এবং দুয়েক পরিবারকে একত্র করে ত্রাণ দিয়েছি। যাতে করে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়।
তিনি আরো বলেন,ঘরবন্দী শ্রমজীবি মানুষের প্রয়োজন অনুসারে আলীকদমে প্রথম পর্যায় ৫শ পরিবার ও পরর্বতীতে আরও ১ হাজার পরিবারকে এই ত্রাণ দেওয়া হবে ।
এদিকে আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার লেঃকর্ণেল সাইফ জোনের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। আলীকদম জোনের পক্ষ থেকে ও আলীকদম যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা বাজারসহ ভিন্ন ভিন্ন এলাকা জীবাণু নাশক ঔষুধ স্প্রে করছেন।