এখানে বড় বড় বোয়াল মাছ আছে : রোয়াংছড়িতে জাল স্বাক্ষরে বিল উত্তোলনকারী !

NewsDetails_01

“এটা মিথ্যা কথা, এখানে বড় বড় বোয়াল মাছ আছে, ঢাকায় আটককৃত জি.কে শামীমও আছে” বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৯৫ লাখ টাকার ব্যয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় কাম স্টোর ভবন এর নিন্মমানের নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতে তড়িঘড়ি করে বিলের কাগজে স্বাক্ষর জাল করে অর্থ উত্তোলনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত ঠিকাদারী কাজের শেয়ারদার মো: এহাসান এসব কথা বলেন।

রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, মের্সাস চারু কর্পোরেশন লাইসেন্সের নামে ঠিকাদার ফয়েজ মোহাম্মদ টিপু ও ঠিকাদার কাজের শেয়ারদার মো: এহাসান মিলে কাজ শুরু থেকে আসল নাম গোপন রেখে ঠিকাদার মো: লিয়াকত ও ম্যানেজার মো: হাসান নামে মিথ্যা পরিচয়ের কাজটি করে।

পরে জানা যায়, ঠিকাদারের প্রকৃত নাম ফয়েজ মোহাম্মদ টিপু, কাজের শেয়ারদার মো: এহাসান ও প্রকৌশলী মো: মোর্শেদুল আলম ও শেয়ারদার রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্টোর ভবন নির্মাণে ঠিকাদার, শেয়ারদারের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা দায়িত্বরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী মো: মোর্শেদুল আলম।

ওই সহকারি প্রকৌশলী মো: মোর্শেদের দায়িত্বের সুবাধে ঠিকাদার ফয়েজ মোহাম্মদ টিপু ও ঠিকাদার কাজের শেয়ারদার মো: এহাসান যোগসাজশে নির্মাণে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে নির্মিত স্টোর ভবনটি অদক্ষ শ্রমিক দিয়ে নিন্মমানের কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করে দেন। এ কাজ থেকে নিজেদের দায়ভার এড়াতে মন্ত্রীকে নিয়ে উদ্বোধন করারও প্রস্তুতি গ্রহন করেছে তারা।

আরো জানা যায়, মো: এহাসান বিনা অনুমতিতে প:প: অফেসের প্রবেশ করে বিনা অনুমতিতে বিল কাগজে সিল মেরে ও কর্মকতার স্বাক্ষরকে জাল স্বাক্ষর করেন। পরে অফিসের জানাজানি হলে মো: এহাসান পালিয়ে যায়,পরে তাকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্মকর্তা শান্তিজয় সামঝোতার বিত্তিতে বিল ও ছাড়পত্রে অনুস্বাক্ষর দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

NewsDetails_03

স্বাস্থ্য সহকারি প্রকৌশলী মো: মোর্শেদ, বলেন নির্মাণ কাজটি শেষ হয়েছে। আর করা কিছুই করার নাই,করতে হলে পরে করব। আপনারা যা লিখবেন লিখেন। আমরা আগামী (২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০) মন্ত্রী বীর বাহাদুরকে নিয়ে এ স্টোর ভবন উদ্বোধন করাবো।

উপজেলা প:প: কর্মকর্তা শান্তিজয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, স্টোর নির্মাণে কাজটি অতি নিম্মমানের কাজ করা হয়েছে। এ কারণে ঠিকাদারে চূড়ান্ত বিলের আমি স্বাক্ষর না দেওয়ায় কাজের শেয়ারদার মো: এহাসান আমার অফিসের লোক না থাকার অবস্থায় প্রবেশ করে সিল মেরে জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর করে নিয়ে গেছে।

বান্দরবানে জেলা প:প: উপ পরিচালক (ডিডি) ডাক্তার অংচালু বলেন, স্টোর ভবন নির্মাণে কাজ শেষ করছে মর্মে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কারণ এ ভবন নির্মাণে দেখভাল করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউ.এন.এইচ.এফ.পিও) সহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আছে। এ উপজেলা কমিটি থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসছে। তাই আমিও আমার স্বাক্ষর দিয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মংহ্লাপ্রু বলেন, এব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

প্রসঙ্গত পরিবার পরিকল্পনা ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে উপজেলা স্টোর ভবন নির্মাণে প্রাক্কলিত প্রায় ৯৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে অবকাঠামো উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয় কাম স্টোর ভবন নির্মাণে ঢাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মের্সাস চারু কর্পোরেশন লাইসেন্সের নামে ঠিকাদার ফয়েজ আহমদ টিপু ও শেয়ারদার মো: এহাসান মিলে এ কাজটি করেন।

আরও পড়ুন