করোনা রোগী আইসোলেশনে : আতঙ্কে রোগী শূন্য নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল

NewsDetails_01

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু এলাকায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিককে (৫৯) আইসোলেশনে রাখায় আতঙ্কে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতাল।

আজ ১৯ এপ্রিল (রবিবার) দুপুর ২টায় সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ পুরো হাসপাতাল ফাঁকা, শয্যাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। করোনা ভাইরাস সংক্রামণ আতঙ্কে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

NewsDetails_03

হাসপাতালটির মেডিকেল অফিসার ডা: আবু রায়হান জানান, উপজেলার তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা (৫৯) বছরের এক বৃদ্ধের কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়
গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল। সেইদিন রোগীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে মোবাইলে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরদিন ১৮ এপ্রিল শনিবার কর্মকর্তার নির্দেশে রাতে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ খবর জানার পর থেকেই ভাইরাস আক্রান্তের শঙ্কায় হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হচ্ছেন না। যারা আগে ভর্তি ছিলেন, তারা ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির আগে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসতেন ১১০ থেকে ১২০ জন রোগী। জরুরি বিভাগে রোগী থাকতো ৩০ থেকে ৪০ জন। করোনা পরিস্থিতির কারনে সেটা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৫ জনে।

চলতি এপ্রিল মাসের আউটডোরে প্রথম সপ্তাহেও হাসপাতালে রোগী দেখা হতো ২০ থেকে ৩০ জন। অথচ উপজেলার তুমব্রু এলাকায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার সংবাদটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কে হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ১৬ এপ্রিল ভর্তি হয় ১১ জন, ১৭ এপ্রিল ভর্তি হয় ৮ জন। করোনা সনাক্ত রোগীকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখার খবর পেয়ে দুই তিন জন নিয়ম মাফিক ছাড়পত্র নিলেও অন্য সব রোগী না বলে পালিয়ে যায়। আজ ১৯ এপ্রিল (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত আউটডোরে রোগী ছিল মাত্র ১ জন। তবে জরুরী বিভাগের ওয়ার্ডে রোগী ছিলো শূন্য।

আরও পড়ুন