খাগড়াছড়িতে ইভটিজিংয়ের ভিডিওর জেরে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা : আটক ৩ ছাত্র

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সরকারী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে নিজ বাড়ীতে সামনে আম গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে প্রিয়া চাকমা (১৮) আত্মহত্যা করেছে। আজ রোববার (১মার্চ) ভোরে উপজেলার বড়াদম এলাকার খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়া চাকমা গত শনিবার দুপুরে কলেজ শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে উপজেলার নারিকেল বাগান এলাকায় পথ আগলে দাড়ায় একই কলেজের শিক্ষার্থী অনিক চাকমা,জয়েস চাকমা এবং সুমন্ত চাকমা। এ সময় প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রিয়াকে তিনজনে মিলে মারধর করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই অপমান সইতে না পেরে পরে বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু না বলে প্রিয়া চাকমা রোববার ভোরে বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে আম গাছের সাথে ঝুলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

ঘটনা জানাজানি হলে, কলেজ ছাত্ররা অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী উপজেলার জোড়াব্রিজ এলাকা থেকে পুলিন বিহারী চাকমার ছেলে অনিক চাকমা, শান্তিপুর এলাকার সুনীল বিকাশ চাকমার ছেলে জয়েস চাকমা এবং কামাকুছড়া এলাকার জীবন কুমার চাকমার ছেলে সুমন্ত চাকমাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।

NewsDetails_03

এদিকে ঘটনার পর বড়াদম এলাকার খামারপাড়া গ্রামে পুলিশ গিয়ে প্রিয়া চাকমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

নিহত কলেজ ছাত্রীর মা মা চিগোন মিলা চাকমা জানান,আমার ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে প্রিয়া সবার ছোট। আমার মেয়েকে মারধর করার পর তারা সেগুলি ভিডিও করেছে। তাই অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।

প্রিয়া’র বাবা জীবিকায়ন চাকমা,এই হত্যাকান্ডের জন্য আটক তিন যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিবিধানের দাবি জানিয়েছেন।

এব্যাপারে দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,প্রিয়া চাকমার পরিবার থেকে কেহ বাদী না হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন