ছাত্রলীগের পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: রাসেল। গত ১৯ আগষ্ট (সোমবার) সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত একটি আবেদনপত্র নিজের ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেন তিনি। গত ২০ আগস্ট এই প্রতিবেদকে পদত্যাগের অনুলিপি প্রদান করেন তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাসেল বলেন, বর্তমান কমিটিতে এক তৃতীয়াংশ অছাত্র,ইয়াবা কারবারি,বিবাহিত,ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগে সম্প্রতি যোগদান করা নেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেয়া হয়,উপজেলার মাদার সংগঠন আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদকের সাথে সমন্বয় না করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা এবং সংগঠনে সভাপতির স্বজনদের অধিকতর প্রাধান্য দেয় বিষয় নিয়ে প্রিয় সংগঠন ছাত্রলীগ, ফলে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব কারনে ছাত্রলীগ গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী কমিটি হওয়ায় আমি স্বেচ্ছায় সাংগঠনিক পদে থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে অব্যাহতি পত্র জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক বরাবরে পাঠিয়েছি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবরে লেখা আবেদনপত্রে তিনি লিখেছেন,‘পিতা মুজিবুরের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে আমি সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তবে পদে না থেকে ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রমে অংশ নেয়ার কথাও জানান।
এমতাবস্থায় সংগঠনের সকল কার্যক্রম যেন ব্যাঘাত না ঘটে এবং এ সংক্রান্তে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ছাত্রলীগের প্রতি আবেদন করছি। প্রাণের ছাত্রলীগ ভালো থেকো। স্বকীয়তা নিয়ে লড়াই করার সৎ সাহস রেখো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
প্রসঙ্গত,গত ১৩জুন জেলা ছাত্রলীগ অনুমোদিত উপজেলা ছাত্রলীগের ৭১সদস্য কমিটির তালিকাতে ২১নং ক্রমিকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আমার নাম থাকলেও কমিটির এক তৃতীয়াংশ স্থান পেয়েছে অছাত্র,ইয়াবা কারবারি ও নব্য ছাত্রলীগ, বিবাহিতরা। এমন কি এই বর্তমান কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ৪০ লাখ ইয়াবা পাচারের সময় হাতেনাতে ধরা পড়লে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র্যাবের কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।