কেএনএফ ও ইসলামী জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে ম্রো, লুসাই, খুমী, খেয়াং এবং পাংখোয়া জাতিগোষ্ঠীর নাম জড়ানোর প্রতিবাদে পাঁচ জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বান্দরবান শহরের অরুন সারকী টাউন হলে বান্দরবানের শান্তি প্রিয় জনসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় বক্তারা বান্দরবানের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ ও তার সাথে জড়িত হওয়া ইসলামী জঙ্গী কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই, জাত নেই। এসময় তারা বান্দরবান পার্বত্য জেলার ম্রো, লুসাই, খুমী, খিয়াং এবং পাংখোয়া জাতিগোষ্ঠীর নাম জড়িত করার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ৫টি জাতির নাম ব্যবহার করে কখনো কুকি-চিন রাজ্য, কখনো বা খ্রীষ্টান রাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে এবং পার্বত্য শান্তি চুিক্তর বিরোধিতা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে বান্দরবানে জাতিগত বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তাদের আস্তানায় ইসলামী জঙ্গীদের আশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বান্দরবানের সুনাম নষ্ট করছে। এসময় বক্তারা কেএনএফ এর কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করা এবং এলাকায় শান্তি শৃংঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর জোরালো অভিযান পরিচালনার জন্য আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ম্রো জনগোষ্ঠীর পক্ষে সিংইয়ং ম্রো, খামলাই ম্রো, লুসাই জনগোষ্ঠীর পক্ষে থানজামাই লুসাই, খুমি জনগোষ্ঠির পক্ষে লেলুং খুমী, খিয়াং জনগোষ্ঠীর পক্ষে ম্রাসা খিয়াং। এসময় সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সংবাদকর্মী এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গত ২০ অক্টোবর রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির সাইজামপাড়া ও বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার নেতৃত্বে র্যাব ৭ ও র্যাব ১৫ অভিযান পরিচালনা করে, সৈয়দ মারুফ আহমদ, ইমরান হোসোইর, কাওসার, জাহাঙ্গীর আহমদ, ইব্রাহিম, আবু বক্কর সিদ্দীক, রুফু মিয়া, জৌথান সাং বম, স্টিফেন বম, মাল সম বম’কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় অস্ত্র ও বিভিন্ন সরাঞ্জাম ও কুকি চিন লিখা ১০টি মানচিত্র উদ্ধার করা হয়।