পাহাড়ে সবজি বিক্রি করে নারীরা ধরছেন সংসারের হাল

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির প্রায় প্রতিটি উপজেলার ছোট-বড় বাজার ও রাস্তার পাশে দেখা মিলে জুমের সবজি। পাহাড়ের দুর্গম পথ পারি দিয়ে এসব সবজি বাজারে নিয়ে আসেন পাহাড়ি নারীরা। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে এসব সবজি বাজারে নিয়ে আসতে দুপুর গড়ে অনেকের। তবে ব্যাপক চাহিদার এ সবজিগুলো বিক্রি করে হাসিমুখেই বাড়ি ফিরেন তারা।

সম্প্রতি জেলার দীঘিনালার লারমা স্কোয়ারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে প্রায় শতাধিক পাহাড়ি নারীরা সামনে সাজিয়ে সবজি বিক্রি করছেন৷ অবশ্য তরতাজা এ সবজিগুলোর চাহিদাও বাজারে ব্যাপক। সাজানো সবজিগুলোর মধ্যে জুম মরিচ, বাঁশ কোড়ল, কচুশাক, কচুর ছড়া, কলার থোর, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পেঁপে, চিচিঙ্গা,কড়লা, জাম্বুরা, কাঁচা কাঠাল, বিভিন্ন প্রজাতির শাক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

সবজি বিক্রেতা কালাবী চাকমা জানান, অভাব অনটনের সংসারে স্বামী দিনমজুর। স্বামীর যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। তাই নিজেদের পাহাড়ে জুমচাষ করে ও তা বিক্রি করে সংসারে যোগান দিচ্ছি। প্রতিদিন এসব সবজি বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার আয় হয়। এ টাকায় আমার অভাব অনটন কমেছে। বাড়তি আয়ে ভালোই চলছে অভাব-অনটনের সংসার।

NewsDetails_03

একাধিক সবজি বিক্রেতা জানান, সবজি বিক্রি করে আমাদের সংসার চললেও কষ্ট দেখার কেউ নেই। খোলা আকাশের নিচে বসে রোদ-বৃষ্টির মধ্যে সবজি বিক্রি কষ্টকর। শুষ্ক মৌসুমে কোনোরকম চললেও বর্ষাকালে ভোগান্তির শেষ থাকে না। বসার জন্য ছাউনি করে দিলে খুব ভালো হয়।

বোয়ালখালী সদর ইউপি চেয়ারম্যান চয়ন বিকাশ চাকমা বলেন, বিভিন্ন হাট-বাজারে গেলেই বোঝা যায় পাহাড়ি নারীরা এখন পিছিয়ে নেই। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সবজি ও ফলমূল বিক্রি করে সংসারের হাল ধরছে। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও পাহাড়ের নারীদের এগিয়ে চলা অত্যন্ত ইতিবাচক।

দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান জানান, একসময় পাহাড়ে নারীরা অনেক পিছিয়ে থাকলেও সময়ের সাথে সাথে অনেক অগ্রসর হচ্ছে। নারীদের এগিয়ে আসার সুযোগ আমাদের সকলের মিলে করে দিতে হবে৷

আরও পড়ুন