বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেন থানচি উপজেলার করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য।
আজ ৮ মে শুক্রবার দুপুরে সদর হাসপাতালে করোনা মোকাবিলা করে সুস্থ হওয়াতে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে তাকে বিদায় জানান। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রহন করে।
এসময় বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. প্রত্যুষ পল ত্রিপুরা এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডা. মো আলমগীর, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) শহিদুল ইসলামসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পুলিশ সদস্যকে সেবা দিয়ে সুস্থ করায় স্বাস্থ্য যোদ্ধাদের সরকারী স্যালুট প্রদান করেন ওই কর্মকর্তা।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, থানচি উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এই পুলিশ সদস্য গত ২৪ এপ্রিল সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। এরপর টানা ১৬ দিন তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়, দুই দফা তার করোনা পরীক্ষা করা হয় এবং দুইবারই তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এছাড়াও হাসপাতালে থাকা আরো ৩ জনের ও করোনা নেগেটিভ আসে। পুলিশ সদস্য এখন সম্পূর্ন সুস্থ তাই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা থেকেও করোনা আক্রান্ত একজন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে। এবং লামার করোনা আক্রান্ত ২ জন রোগীর দ্বিতীয় দফায় করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এসেছে। এনিয়ে বান্দরবানে আক্রান্ত মোট ৯ জনের মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে। বাকী ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের দ্বিতীয় দফায় করোনা নেগেটিভ এসেছে তারাও সুস্থ হওয়ার পথে। আরেক বার নমুনা পরীক্ষায় তাদের নেগেটিভ আসলে তাদের ও বাড়ী পাঠিয়ে দেয়া হবে। অন্যদের ও চিকিৎসা চলছে তাদের মধ্যে কোন উপসর্গ নেই।
এদিকে সুস্থ হয়ে ওঠা পুলিশ সদস্য বলেন, করোনা সাধারণ যে লক্ষণগুলো থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণ জানা যায়, সে লক্ষণগুলো আমার মাঝে অনুভূত হওয়ার পরে আমি শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করি। পজেটিভ আসার পর আমি ভেঙ্গে পড়িনি। ডাক্তার এবং নার্সদের সেবা আমাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহযোগিতা করেছে।
বান্দরবান সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. প্রত্যুষ পল ত্রিপুরা বলেন, আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি রোগীকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার। আমাদের এই ইউনিটটি স্বয়ংস্বম্পূর্ণ নয়, অনেক কিছু নেই। আজ প্রথম করোনা রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছে তাই খুব ভাল লাগছে।