বান্দরবানে চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার : আটক অন্তত ১৮ জন

NewsDetails_01

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলায় অবাধে প্রবেশ করছে মরণঘাতী মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র। আর সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করছে ইয়াবা। পুলিশসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করলেও কোন ভাবে ঠিকানো যাচ্ছেনা মাদক। চলতি বছরে প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়, এঘটনার সাথে জড়িত অন্তত ১৮ জনকে আটক করা হয়।

বিশেষজ্ঞের মতে, বান্দরবান জেলার কিছু অংশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে মাদক এবং অস্ত্র চোরাকারবারীরা সহজে বড় বড় চালান নিয়ে আসছে জেলায়। জেলার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম, থানচি, রুমা উপজেলা মূলত মিয়ানমার এবং ভারতের কাছাকাছি হওয়ার কারণে মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারীদের অবাধ বিচরণের কারণে জেলায় মাদক এবং সন্ত্রাসী কারবার বাড়ছে। আর এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেছেন পাহাড়বার্তা’র গবেষণা সেল এর প্রধান সুহৃদয় তঞ্চঙ্গ্যা।

NewsDetails_03

পাহাড় বার্তা’র গবেষণা সেল এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত বান্দরবানে ৩,৭৬,৬৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার, যার বাজার মূল্য ১১ কোটি ২৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৯০০ টাকা। অন্যদিকে আফিম উদ্ধার হয়েছে ৭ কেজি ৫৫০ গ্রাম, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। তাছাড়া ৮ টি দেশি বিদেশি অস্ত্র, ২০ লিটার মদ, ১৩ টি মোবাইল সেট, ৭ টি একে ৪৭ এর ম্যাগাজিন ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে, আটক হয়েছে অন্ততঃ ১৮ জন। অন্যদিকে ২২ জানুয়ারী ও ৮ ফেব্রুয়ারী নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবি সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৩ ইয়াবা চোরাকারবারি নিহত হন। নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা বলে জানা যায়।

বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানান, জেলার কিছু অংশ সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে বিদেশি কিছু মাদক জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। মাদক বিরোধী অভিযানে আমরা বরাবরই জিরো টলারেন্সে রেখেছি। পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানোর ফলে মাদক চোরাচালান ধরা পরেছে। পুলিশের পাশাপাশি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাব এবং বিজিবি এই মাদক অভিযানে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি জনগণের সহযোগিতা দরকার বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন