বান্দরবানে জমে উঠেনি গরুর বাজার

দুই বাজারে গরু বিক্রি হয়েছে ১ টি

NewsDetails_01

বান্দরবানে কোরবানির পশুর হাটের বেচাকেনা দ্বিতীয় দফায় শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে এ বেচাকেনা। তবে কোরবানি হাট শুরু হওয়ার ২য় দিনেই স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন বালাই ছিলনা। এমন করোনাকালে মাস্ক ছাড়াই হাটে ঘুরতে এসেছিলেন অনেকেই। এছাড়া দ্বিতীয় দিনেই বৃষ্টির কারণে বেকায়দায় পড়েছে হাটে আসা বেপারিরা।

বান্দরবানের কালাঘাটা বাজারে গরু কিনতে আসা মো:জামাল বলেন, বান্দরবানে করোনা রোগী দিন দিন বাড়ছে কিন্তু অনেকেই করোনাকে ভয় না পেয়ে গরু বাজারে অযথা ঘোরাফেরা করছে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বান্দরবান বালাঘাটায়, কালাঘাটায় গরুর হাট বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা কৃর্তপক্ষ। অন্য দিকে এই হাট শুরুর সাথে সাথেই উপস্থিতি বেশি ছিল শিশু-কিশোর। ইজারাদার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুই বাজারে দুপুর (১ টা) পর্যন্ত গরু বিক্রি হয়েছে একটি।

প্রথম থেকে বলা হচ্ছিল বৃদ্ধ আর শিশুরা যেন এবারে গরুর হাটে না আসে। সব মিলিয়ে সংক্রমণ এড়াতে যেসব বিধির কথা বলা হয়েছে তার তিল পরিমাণও মানতে দেখা যায়নি হাটে ঘুরতে আসা মানুষ জনের মধ্যে। দ্বিতীয় দিনেই এমন লেজে গোবরে অবস্থার প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে মা বাবাকে সচেতন হবে।

NewsDetails_03

গরু কিনতে আসতে মো:সোহেল বলেন,কোরবানের এই সময়ে আমাদের বান্দরবানে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় আশা রয়েছে,কেননা গরু বাজারে অনেকেই সামাজিক দুরত্ব মানছে না।

অন্যদিকে আইন শৃংখলা রক্ষায় মাঠে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে গরুবাজারে জাল নোট ঠেকাতে ব্যাংক গুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচী, বসানো হঢেছে জাল নোট ঠেকানোর বুথ। এবারের করোনার সংক্রামন ঠেকাতে পরিস্তিতিতে বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য বেশ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসন।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের প্রতিটা গরু বাজারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোষাকে পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।

সরেজমিনে কালাঘাটায় গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতা এবং হাটে ঘুরতে আসা লোকের সংখ্যা গরু থেকেও অন্তত ৪ গুণ বেশি! দুর-দূরান্ত থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারিরা জানান, বৃষ্টির কারণে বাড়তি ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন