বান্দরবানে নানা আয়োজনে পার্বত্য শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূতি উদযাপন
বান্দরবানে মেডিকেল ক্যাম্প, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তী পালন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ৬৯পদাতিক ব্রিগেড এর সার্বিক তত্বাবধানে ও ৭ ফিল্ড এ্যাম্বুলেন্স এর আয়োজনে শহরের আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেডিকেল ক্যাম্পেইন অুনষ্ঠিত হয়েছে। এসময় সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা প্রদান ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করেন। এসময় শতাধিক নারী পুরুষকে মেডিসিন, ডেন্টাল,গাইনি,পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
সকালে শহরের একটি রেস্তোরায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান শাখার উদ্যোগে শান্তিচুক্তির ২৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও চুক্তির বিতর্কিত ধারাসমুহ সংস্কার পূর্বক বাস্তবায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মো. মজিবর রহমান, সংগঠনটির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলামসহ সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমার আইডি কার্ড না থাকলেও উনার পাসপোর্ট কিভাবে হয়? এসময় তিনি একজনের বক্তব্য উদ্ধুতি দিয়ে আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি তিন পার্বত্য জেলায় বছরে ৪শ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। পাহাড়ে চাঁদাবাজী,খুন,গুম ও ধর্ষণসহ সমাজ বিরোধী কর্মকান্ডে পাহাড়কে করে তুলেছে অস্থির ও অস্থিতিশীল।
অন্যদিকে দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোচনা সভা অংশ নেন ও অসহায় দু:স্থ পরিবারের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লৎফর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, জেলার সিভিল সার্জন অংসুই প্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, ফাতেমা পারুলসহ অনেকে।
আলোচনা সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, সরকার পাহাড়ে শান্তির জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে এবং আন্তরিকতার সাথে পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নও করছে।