বান্দরবানে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা নিয়ে পাহাড়বার্তা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বক্তব্য
বান্দরবানে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পাহাড় বার্তা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বক্তব্য:
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে পাহাড়বার্তা’য় প্রকাশিত বান্দরবানের সাম্প্রতিক বন্যায় ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং স্থানীয় এনজিও বিএনকেএস এর পরিচালিত মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বান্দরবানে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও বিএনকেএস এর ত্রাণ বিতরণে নয়ছয়- নামক প্রতিবেদনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের অভিযোগকে ভিত্তি করে বলা হয়েছে যে- প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ নয় এমন মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন এমন অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়েছে। আমরা শিশু কেন্দ্রিক ত্রাণ ও উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজন ও নিধারিত মানদন্ডের ভিত্তিতে সরকারের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রান বিতরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সকল শিশু ও পরিবারের জন্য আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কাছে প্রয়োজনমাফিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোই আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বর্পূন।
আমরা মানবিক সহায়তা সহ সকল ধরনের কার্যক্রম সততা,স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা করতে বদ্ধপরিকর। ত্রান সহায়তা কার্যক্রমে অনিয়ম, দুনীতি বা প্রতারণার কোন নির্ভরযোগ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন তার যথাযথ অনুসন্ধান করে থাকে। যে কারনে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার সাথে সাথেই, উপকারভোগী নির্বাচনের প্রক্রিয়া পুনঃ নিরীক্ষনের জন্য আমার একটি নিজস্ব দল বান্দরবানে প্রেরন করেছি। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে দলটি কাজ করছে এবং তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো।
ওয়ার্ল্ড ভিশন একটি আর্ন্তজাতিক শিশু কেন্দ্রিক উন্নয়ন সংস্থা যা বিগত ৪৭ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। বান্দরবান জেলায় বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও বিএনকেএস ৪৫ দিনের একটি প্রকল্প পরিচালনা করে, যার মাধ্যমে ১,৭১০ টি পরিবারকে সহায়তা করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নগদ অর্থ সহায়তা, হাইজিন সামগ্রী বিতরন এবং প্রতিবন্ধীদের বিশেষ অর্থ সহায়তা।
বিজ্ঞাপন