বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি,মাদক ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে বান্দরবান সেনাজোনের একটি দল বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে এইসব সরঞ্জাম উদ্ধার করে, তবে এসময় সন্ত্রাসীরা গহীন পাহাড়ে পালিয়ে গেলে কাউতে আটক করা যায়নি।
বান্দরবান সেনাজোনের সুত্রে জানা যায়,বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম এর আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (সন্তুু) সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিপুল পরিমান চাঁদা আদায় করছিল এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা বান্দরবান সেনাজোনের সদস্যরা। এসময় নানা প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা,দুর্গম পাহাড়ী পথ অতিক্রম করে সন্ত্রাসীদের আস্তানার সন্নিকটে পৌঁছালে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রাণভয়ে আস্তানা ত্যাগ করে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে ম্যাগাজিন ভর্তি ১ টি পিস্তল,একে ৪৭ এর ম্যাগাজিন, একাধিক এ্যামোনিশন বাউন্ডুলিয়ার, ধারালো দেশীয় অস্ত্র, কমান্ডো নাইফ,বিপুল পরিমান গোলাবারুদ, ওয়াকিটকি, সোলার চার্জার, ১৩টি মোবাইল ফোন,সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত জলপাই রংয়ের পোষাক,চাঁদা আদায়ের রশিদবই, নগদ অর্থ,সন্ত্রাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি ব্যাগ এবং দেশীয় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় ।
সেনাবাহিনীর বান্দরবান সদর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল আক্তারু সামাদ রাফি সাংবাদিকদের জানান, নোয়াপতং পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে এসব অস্ত্র ও সরাঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত,বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস প্রবন এলাকা, যেখানে দেশি-বিদেশী শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের খুন,গুম,চাঁদাবাজী নিত্য ঘটনা।