বান্দরবানে ১ বছরে ৪২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪০৮৫ টাকার মাদক উদ্ধার

গ্রেফতার ২৮২ জন

NewsDetails_01

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বান্দরবান জেলায় অবাধে প্রবেশ করছে মরণঘাতী মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র। আর সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করছে ইয়াবা। পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইয়াবা নিয়ন্ত্রণে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করলেও কোন ভাবে ঠেকানো যাচ্ছেনা মাদক চোরাচালান। ২০২১ সালে প্রায় সাড়ে ৪২ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪ হাজার ৮৫ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়, পুলিশ এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৮২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বিশেষজ্ঞের মতে, বান্দরবান জেলার কিছু অংশ মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী হওয়ার কারণে মাদক এবং অস্ত্র চোরাকারবারীরা সহজে বড় বড় চালান নিয়ে আসছে জেলায়। জেলার সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম, থানচি, রুমা উপজেলা মূলত মিয়ানমার এবং ভারতের কাছাকাছি হওয়ার কারণে মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারীদের অবাধ বিচরণের কারণে জেলায় মাদক এবং সন্ত্রাসী কারবার বাড়ছে। আর এই নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে পাহাড়বার্তা’র গবেষণা সেল এর প্রধান সুহৃদয় তঞ্চঙ্গ্যা।

পাহাড় বার্তা’র গবেষণা সেল এর তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে সারা বছরে বান্দরবান জেলায় পুলিশের অভিযানে ১৩৬ মামলা এবং ১৫ টি জিডি করা হয়েছে এবং মাদক উদ্ধার পরিচালনা কাজে ২১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশে। পুলিশের অভিযানে ৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৬২ পিস ইয়াবা, ২৩২৩.৫ লিটার চোলাই মদ, ১ কেজি ৯৬০ গ্রাম গাঁজা, বিয়ার ক্যান্ট ৪০টি, মদের উপকরণের ঔষধ ৬০ লিটার উদ্ধার করে পুলিশে।

র‌্যাব এর অভিযানে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৫৬০ পিস ইয়াবা এবং ১৬ কেজি ৯০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করা হয়েছে, র‌্যাব এর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৮ জন।

NewsDetails_03

বিজিবি অভিযানে ২৪টি মামলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৭৬ পিস ইয়াবা, ৫৪.৭৫ লিটার চোলাই মদ বিদেশি মদ ১০ বোতল, গাঁজা ২ কেজি।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৯ টি মামলায় গ্রেফতারের সংখ্যা ২২ জন। অভিযান পরিচালনা করে ৪ হাজার ৯৯০ পিস ইয়াবা, ৫৩ লিটার চোলাই মদ, ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। অন্যদিকে বিজিবি সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৫ ইয়াবা চোরাকারবারি নিহত হন। নিহতরা সবাই রোহিঙ্গা বলে জানা যায়।

বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আখতার জানান, মাদক চোরাচালানের অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, অভিযানও পরিচালনা রয়েছে। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি, আলীকদম ও থানচি এলাকার বাসিন্দারা একটু সচেতন হলে মাদক চোরাচালান বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে আমরা বরাবরই জিরো টলারেন্সে রেখেছি। পুলিশ এবং যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানোর ফলে মাদক চোরাচালান ধরা পরেছে। পুলিশের পাশাপাশি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অভিযানে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন