বিধি নিষেধ না মানায় রোয়াংছড়ির সেতুটি ভেঙ্গে গেছে
পাহাড়বার্তা’কে যুগ্ন সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন
অতিরিক্ত মালমাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণেই সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। ৫ টনের অধিক মালামাল বহনের বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তা মানা হয়নি। রুমা-বান্দরবান সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে স্থানীয়দেরও এগিয়ে আসা জরুরি। পাহাড়বার্তাকে এসব কথা বলেন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের যুগ্ন সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান রুমা সড়কে রোয়াংছড়ি উপজেলায় মূরুং বাজার এলাকায় বেইলী সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার দূর্ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথেও কথা বলেন এবং সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণগুলো খোঁজ নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শামস্ মোছাদ্দেক চৌধুরী, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোছলেহ্ উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন শিবলী, সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি মেজর রিফাত ও হাইওয়ের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল হাসান।
পরিদর্শন কালে পাহাড়বার্তাকে তদন্ত কমিটির প্রধান ও যুগ্ম সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলাচল করায় সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে, এটাই প্রাথমিক ভাবে জেনেছি। সেতু ভাঙ্গা দুর্ঘটনার অনুসন্ধান করে তা করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রদান করবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেযাদের দুইটি সুপারিশ প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটি প্রধান, ফারহানা কাউনাইন।
প্রসঙ্গত; ২ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্র্যাক বেইলী সেতু উপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে যায়। এঘটনায় আব্দুর গফুর নামে ট্রাকের চালক মারা যায়।
রুমা- বান্দরবান সড়কে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২নং তাড়াছা ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড দু’টি সীমানা রেখা পাইক্ষ্যং ঝিরির উপর নির্মিত এই বেইলী সেতুর অবস্থান। সড়ক ও জনপদের বিভাগের আশির দশকের দিকে সেতুটি নির্মাণ করে।