রুমায় মানুষের পাশে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি
টানা বৃষ্টি
টানা কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
আজ শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৪) বান্দরবানে রুমা সেনা জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রুমা সদর ইউনিয়নে রুমা বাজার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আবাসিক হোস্টেলে আশ্রয় কেন্দ্রে অসহায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব খাবার বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের শুরু হয়। এতে করে রুমা উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের নিম্ন অঞ্চলগুলো তলিয়ে যায় পানের নিচে। ভারী বৃষ্টিপাতের সাঙ্গু নদীতে পানি বাড়তে থাকলে নদীর তীরে বসবাস করা সাধারণ মানুষেরা আশ্রয় নেয় আশ্রয় কেন্দ্রে। তবে আশ্রয় নেয়া লোকজন আপাতত মাথা গুঁজে অবস্থান করার ঠাঁই পেলেও খাবার ভোগান্তিতে পড়েছে তারা। এসব অসহায় মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চারটি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৬ পরিবারের ৪০৩জন নারী-পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করেন উপজেলা প্রশাসন। এসব শুকনো খাবার বিতরণে সার্বক্ষণিক তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মকবুল হোসেন, রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ পৌঁছি মোঃ শাজাহান ও রুমা সদর ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অংসিংনু মারমা।
শনিবার (৩ আগস্ট ২০২৪) দুপুরে খাবার বিতরণ করেন রুমা জোনের সেনাবাহিনী। খাবার বিতরণ সার্বিক তদারকি করেন, বাজার ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাসুম রান্না।
সেবা কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে মানবিক সেবায় সার্বিক সহযোগিতা করছেন রেড ক্রিসেন্ট এর রুমা ইউনিটের কর্মীরা। রুমা ইউনিটের স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ক নয়ন ধর জানান, প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থা থেকে অসহায় মানুষদের যতদিন সহযোগিতা কার্যক্রম থাকবে, ততদিন রুমার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট কর্মীরা বিনামূল্যে পরিশ্রম দিয়ে মানবিক কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রুমা সদরে দুইটি ও গালেঙ্গ্যা ইউনিয়নে দুইটি মোট ৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৬ পরিবারের মধ্যে ৪০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। নারী-পুরুষ ও শিশু এসব অসহায় সাধারণ লোকেরা যতদিন নিরাপদ হবেনা, ততদিন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকবে। ওই সময় আশ্রয় কেন্দ্রে অসহায়রা খাবারের ভোগান্তিতে না পড়ে, এই ব্যবস্থা হিসেবে রুমা উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও বিজেবি যৌথ সমন্বয়ে দেখভাল করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে শনিবার রাতের খাবার ব্যবস্থা করেছে রুমার বিজিবি।