রোয়াংছড়িতে পেয়ারা চাষে বাম্পার ফলন, তবুও হতাশ কৃষক

NewsDetails_01

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় পেয়ারা চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে,অন্যদিকে প্রান্তিক কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে।

৫ একর জায়গাতে কলা,কমলা,মাল্টা, থাই টু ও কাঞ্চনা নামে দুই প্রজাতি পেয়ারাসহ বিভিন্ন মিশ্র ফলের বাগান করেন প্রান্তিক রোয়াংছড়ি পাড়ার কৃষক অংশৈমং মারমা।
কৃষকের নিজ নামীয় পাঁচ একর ৩য় শ্রেণির জায়গাতে লাগানো পেয়ারা গাছ ছোট থেকে পরিচর্যা করে আসেছেন। ফলে দুই-তিন বছরে মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা ফল ধরছে। ইতোমধ্যে বাগানে পেয়ারা পাঁকতে শুরু করছে।

আর সেই পেয়ারা দৈনিক যতটুকু পারেন স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। পেয়ারা ফল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলেও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা করে। সময় মতো ফল বাজারজাত করতে না পারায় বাগানের গাছ থেকে ফলগুলো ঝড়ে পড়েছে। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি ও ভাল না হওয়ার কারণে বেপারিরাও আসেনা, ফলে পেয়ারা চাষের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।

NewsDetails_03

রোয়াংছড়ি পাগলাছড়া এলাকার কৃষক অংশৈমং মারমা বলেন, আমার নিজ নামীয় ৫ একর তৃতীয় শ্রেণি জায়গাতে কলা, কমলা,মাল্টা, থাই টু পেয়ারা ও কাঞ্চনা পেয়ার নামে দুই প্রজাতি পেয়ারসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছ রোপন করি। কিন্তু পেয়ারা গাছ বেশি আছে বাগানে। এ বছরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রচুর পরিমাণে ফল ধরছে। প্রত্যেকটি পেয়ারা গাছে কম হলেও অন্তত ৮০ থেকে ১০০টি করে ফল ধরছে।

তিনি আরো বলেন, বাগানের ফল ঠিক মতো বিক্রি করতে পারলে কমপক্ষে ৯০ হাজার থেকে ১লক্ষ টাকা পাওয়া যেত। এখন ফলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছি আমি।

এ বিষয়ে পেয়ারা ব্যবসায়ী মো: আলমগীর ও মো: জসিম উদ্দিন বলেন, পেয়ারা মৌসুমে আড়তে প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫টাকা করে বিক্রি করা যায়। আন সিজেন হলে কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩৫ হতে ৪০টাকা দিয়ে ক্রয় করলেও ৫০ হতে ৬০টাকা বিক্রি করা যাবে। তবে এখন পেয়ারার মৌসুম হওয়ায় কৃষকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ১০ হতে ১২টাকা দিয়ে ক্রয় করা যাবে।

এব্যাপারে রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর ব্লকের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুসিং মারমা বলেন, আমরা সব সময় বাগান পরিদর্শন করে কৃষককে পরামর্শ দিয়েছে, যাতে কৃষকের লাভ হয়।

আরও পড়ুন