রোয়াংছড়িতে যাতায়তের ব্রিজ নয়, যেন মরণ ফাঁদ !

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের নোয়াপতং খালের উপর নির্মিত ব্রিজ ধসে যাওয়ায় যেন মৃত্যুর ফাঁদ এর উপর দিয়ে যাতায়ত করছে শত শত মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়দের চলাচলের জন্য প্রায় ৭ বছর পূর্বে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে রোয়াংছড়ি উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরে মাধ্যমে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ধসের পড়া ব্রিজটি রোয়াংছড়ি ও বান্দরবান সদর এর সংযোগ ব্রিজ হিসাবে স্থানীয়দের কাছে একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। কিন্তু এই যাতায়তের একমাত্র মাধ্যমটি ধসে পড়ায় সড়ক পাড়াপাড়ে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরো জানা গেছে, ব্রিজটির উপর দিয়ে দুই উপজেলার শতাধিক মানুষ দৈনন্দিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আর এই ব্রিজ দিয়ে একসময় স্থানীয়রা কৃষিপণ্য সহজে আনানেওয়া করলেও এখন ব্রিজ ধসে যাওয়ার কারনে ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছে। বান্দরবান জেলা সদর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা সদরে যাতায়তের নির্ভরযোগ্য প্রধান সড়ক। নোয়াপতং ইউনিয়ন বাসীদের রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর ও বান্দরবান জেলা সদরে আসতে হলে ওই সংযোগ ব্রিজ ছাড়া বিকল্প নাই।
সাম্প্রতিক এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, দৈনন্দিন অফিসের কাজে যাওয়া, বিদ্যালয় খোলা থাকাকালীন কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রী, উচ্চ বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়–য়া শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলেন। এছাড়া কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বেচা-কেনা করতে মালামাল পরিবহণে যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় কৃষকের উৎপাদিত ফসলগুলো ন্যায্য মূল্যে বেচা-কেনা করতে না পেরে গুণতে হচ্ছে লোকসান। সংযোগ ব্রিজটি ধসে পড়ায় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যাতায়াতে বিপাকে পড়ছে। শুধু পাড়াপাড়ে ব্রিজ চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে স্থানীয়দের।

NewsDetails_03

নোয়াপতং ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ড সদস্য উবা প্রু মারমা বলেন, এলাকার উন্নয়ন হয়েছে ঠিকই, খাল পাড়া পাড়ে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাধারণ জনগণ বিপাকে পড়ছে। ব্রিজটি শুকনো মৌসুমের চাইতে বর্ষা মৌসুমে অতি জরুরি দরকার।

এদিকে ব্রিজটির উভয় প্রান্তে যানবাহন চলাচলের রাস্তা উপযোগী করতে কার্পেটিং করে দিয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। রাস্তাটি করলেও কোন বিকল্প ভায়া রাস্তা না থাকায় রোয়াংছড়ি উপজেলা ও বান্দরবান জেলা সদরে যেতে ঝুঁকি নিয়ে ধসের পড়া ব্রিজ দিয়ে যেতে হয়।

নোয়াপতং ইউপি চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা বলেন, এ ধসে পড়া ব্রিজটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিস উপজেলা ত্রাণ অধিপ্তর,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পাহাড়ের ব্যাপক উন্নয়ন করা প্রতিষ্ঠান পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লোক এসে পরিদর্শন করে চলে গেছে। কিন্তু সেতু নির্মাণ কাজে উদ্যোগ নিয়েছে কিনা কোন খবর জানা যায়নি। তবে এলাকার মানুষ ও প্রান্তিক কৃষকের সুবিধার্থে নতুন সেতু দরকার।

এব্যাপারে উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ময়নুল ইসলাম বলেন, ধসে পড়া ব্রিজ এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করেছি। আসলে নোয়াপতং ইউনিয়ন বাসীদের খাল পাড়া পাড়ে দ্রুত সেতু নির্মাণ করে দেওয়া দরকার। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে করে না দিলে আমাদের ত্রাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন