শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সবুর কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া গেছে। এসময় স্কুলে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বোধিচন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও শিক্ষক সংকটে রয়েছে। এ শিক্ষক সংকটে কারণে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। একটি সরকারী স্কুলে প্রধান শিক্ষক সহ প্রায় ২৫জন থাকার নিয়ম থাকলেও আছে শুধু সরকারী শিক্ষক ৬জন। আবার ৬জন শিক্ষকের মধ্যে জুয়েল বড়ুয়া নামে একজন শিক্ষক প্রশিক্ষণরত আছে। বাকী ৫জন শিক্ষকের মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষক মো: শলিম উল্ল্যাহ ছুটি না নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক মো: শলিম উল্ল্যাহ ছুটি নিয়েছে কিনা তা জানে না, এটা প্রধান শিক্ষক বলতে পারবে। তবে পার্বত্য জেলা পরিষদের দেওয়া খন্ডকালীন শিক্ষকের নিয়ে চালাচ্ছে বিদ্যালয়। এভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের জন্যে সমস্যা হবে বলে জানান।
আরো জানা গেছে, শিক্ষক মো: শলিম উল্ল্যাহ কর্মস্থলে থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিনা অনুমতিতে প্রায় একমাস যাবত বাড়িতে অবস্থান করে আছে। একদিকে স্কুলে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটেছে। একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে কাজের অবহেলা ও ঠিক মতো কর্মস্থলে না থাকায় তার বিরুদ্ধে সরকারী বিধানুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসন ও উর্ধতন কর্তৃক পক্ষের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।
সহকারী শিক্ষক মো: শলিম উল্ল্যাহ সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি হাসপাতালে। তিনি আরো বলেন, আমি এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকে জানিয়েছে।
এব্যাপারে রোয়াংছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুস সবুর সাথে দেখা করতে গেলে তিনিও কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষকের ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।