উদারতাকে সন্ত্রাসীরা দূর্বলতা ভাবলে, ভুল করবে : আলীকদম জোন কমান্ডার

NewsDetails_01

আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার,আমরা সবাই এই পরিবারের সদস্য কিন্তু কোন অবস্থাতে কোন গোষ্ঠী বা গ্রুপকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়নের স্লোগানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ২৩ বীর আলীকদমে জোনে মুরং হেডম্যান-কারবারী সম্মেলন একথা বলেন আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার ।

আজ বুধবার (২৮ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় আলীকদম সেনা জোনের প্রত্যয়ী তেইশ চত্বরে লামা-আলীকদমের মুরুং হেডম্যান,কারবারী নিয়ে সম্মেলন করেন আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার ।

তিনি আরও বলেন,এরই মধ্যে সেনাবাহিনী অনেককে চাকরী সুযোগ করে দিয়েছে। আগামীতেও আমাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। মুরুং ছাত্রছাত্রীর লেখাপড়ার সুযোগ আরও বৃদ্ধি করা হবে। মুরুং ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করলে,তাদের যাবতীয় খরচ আমরা অতীতেও বহন করেছি ও ভবিষ্যতে বহন করব।
পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য,পাহাড়ের কাছাকাছি জায়গায় বিক্রি করতে পারে, সেজন্য বাজার ও বাজারশেড তৈরী করে দেওয়া হবে। শিক্ষিত মুরুং ছাত্রছাত্রীদের জন্য সেনাবাহিনী,পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির জন্য সহযোগিতা করা হবে।

NewsDetails_03

তিনি আরও বলেন,সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য যেদিন থেকে আর্মির পোশাক পড়েছে, সেদিন থেকে নিজের জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত । যেকোন সন্ত্রাসী গ্রুপকে দমন করার সক্ষমতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আছে। আমরা আপনজন ভেবে উদারতা দেখায়,সে উদারতাকে সন্ত্রাসীরা দূর্বলতা ভাবলে,ভুল করবে বলে জানান।

উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার লেঃকর্ণেল সাইফ শামীম,পিএসসি ।

মুরুং হেডম্যান কার্বারী সম্মেলনে আলীকদম জোনের উপঅধিনায়ক কর্ণেল এএসএম ফখরুল ইসলাম চৌধুরীর,আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃআবুল কালাম,আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী রকিব উদ্দিন, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা,আলীকদম মুরুং কল্যান ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ইয়াংলক মুরুং ও লামা- আলীকদম উপজেলার মুরুং হেডম্যান- কারবারীরা উপস্থিত ছিলেন।

YouTube video

এসময় মুরুং হেডম্যান ও কার্বারীরা বলেন, আজ সেনাবাহিনীর সহায়তায়,আমাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে লেখাপড়া করছে। আমরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি,লামা আলীকদম মুরুং বাহিনী তৎসময় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি তাদের সহায়তা পাহাড় অশান্ত কারী শান্তি বাহিনীকে পাহাড় ছাড়া করেছিল। আজ আমরা শান্তিতে বসবাস করছি। এ শান্তিতে বসবাস করতে পারছি শুধু সেনাবাহিনীর সহযোগিতায়।

তারা আরো বলেন, আমাদের বিপদে ও সমস্যায় সবার আগে যারা আসে,তারা হলেন সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী পাহাড়ে বসবাসকারী মুরুংদের পরম মিত্র ও আপনজন বলে হেডম্যান ও কার্বারীরা জানান।

আরও পড়ুন