খাগড়াছড়িতে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ি জেলাজুড়ে গত ১ সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। এতে করে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা, সেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানেরও।

সরকারের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে কোথায় কতক্ষণ কীভাবে লোডশেডিং দেয়া যাবে স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় রুটিন প্রস্তুত করে তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও বিভিন্ন উপজেলা বিদ্যুউ উপকেন্দ্রগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

বিভিন্ন উপজেলা থেকে কর্তৃপক্ষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লোডশেডিং দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা তা মানতে রাজি নন কর্তৃপক্ষ। সারাদিন ৫-১০ বার লোডশেডিং তো আছেই; তার ওপর বিরক্তিকর ভেলকিবাজি। সবচেয়ে বিরক্তিকর গভীর রাতে এলাকাবাসী যখন ঘুমাতে যান ঠিক সে সময়ে শুরু হয় আসল লোডশেডিং।

অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় রাত ১টা থেকে লোডশেডিং শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। একদিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস অন্যদিকে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ। সারা রাত ঘুমাতে না পেরে এলাকাবাসী সড়কের উপর আর ব্রিজ কালভার্টেও ওপর বসে গল্প গুজব করেই রাত পোহাচ্ছে।

NewsDetails_03

রাত্রিকালীন সমান তালে লোডশেডিং দেয়ার কারণে সাধারণ মানুষ সকালে নির্ঘুম রজনীর হতাশা প্রকাশ করে। তাছাড়া এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।

জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলায় রাত-দিন সমান তালের লোডশেডিং পরিবর্তন চায় এলাকাবাসী। সারাদিন ক্রমাগত বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদেরকে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গণ মাধ্যমে যারা সংবাদ প্রেরণের কাজ করেন তাদের অবস্থা হয় আরও শোচনীয়।

খাগড়াছড়ির জাহিদুল, সুমন ও আবদুর রহমান মোল্লা সহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে ঘাপটি মেরে যেসব কর্মকর্তাগণ বসে আছে তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেমন নামাজের সময়, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করার সময় এবং সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে যখন মানুষ ঘুমাতে যায় তখন লোডশেডিং দিয়ে থাকে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলা ও উপজেলার অবৈধ সংযোগগুলো বের করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলে অত্র এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটা হ্রাস পাবে। অনেকে আবার এ সমস্যার জন্য বেটারী চালিত অটোরিকশাকেও দায়ী করছে।

এ বিষয়ে দীঘিনালা ও পানছড়ি সহ একাধিক উপজেলা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তারা কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তারা জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রতিদিন আপগ্রেড তথ্য দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে তথ্য দিতে আমাদের নিষেধ করা আছে।

আরও পড়ুন